আগারগাঁওয়ে অফিস পাড়া: সড়ক নয়, যেন নর্দমা

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশের সরকারি বিভিন্ন কার্যালয়ের ঠিকানা হলেও এই এলাকার আশপাশের সড়কগুলোর চেহারা দেখে তা বোঝার উপায় নেই।

নিজস্ব প্রতিবেদকহাসিবা আলী বর্ণা, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2015, 00:26 AM
Updated : 4 July 2015, 00:26 AM

সরকারি এসব কার্যালয়ের পাশের বেশ কয়েকটি রাস্তা প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব সড়কে প্রায় সারা বছর জলাবদ্ধতা থাকে। বর্ষাকালে একটু বৃষ্টি হলেই অবস্থার আরো অবনতি ঘটে।

অথচ এই রাস্তাগুলোর পাশেই রয়েছে ইসলামী ফাউন্ডেশন, পরিসংখ্যান ব্যুরো, ব্যান্সডক, পিকেএসএফ, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার জাতীয় সদরদপ্তর।

আশেপাশেই রয়েছে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি স্বাস্থ্যসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান।

রাতের বেলা এই রাস্তাগুলোর অধিকাংশ স্থানেই সড়কবাতি জ্বলে না। খানাখন্দে ভরা রাস্তা ব্যবহার করতে গিয়ে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নিত্য চলাচলকারী অনেক যাত্রী এবং রিকশাচালক।

এগুলোর মধ্যে ইসলামী ফাউন্ডেশন হয়ে পিকেএসএফ প্রধান কার্যালয়, কোস্টগার্ড সদরদপ্তর ও সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্রের সামনে দিয়ে যাওয়া সড়কের অবস্থাই সবচেয়ে করুণ।

রিকশাচালক জলিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভাঙ্গা এই রাস্তা দিয়া রিকশা চালানি খুবই কষ্টের। আর রাইতের বেলা বাত্তি থাকে না বইলা এক্সিডেন্টও হয় প্রায়ই।”

এই সড়কের ব্যবহার করে প্রতিদিন অফিস আসা-যাওয়া করেন ইসলামী ফাউন্ডেশনের কর্মী ইদ্রিস।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই এলাকায় এতোগুলি সরকারি অফিস, অথচ এই রাস্তাগুলির দিকে কারো কোনো নজর নাই। ভাঙ্গা আর পানিতে ডোবা রাস্তা দিয়ে সারা বছর যাতায়াত করতে হয়।”

সংস্কারের অভাবে এলাকার সড়কগুলোর এই দুর্দশা। তার উপরে রাস্তার ফুটপাত দখল করে বসেছে অবৈধ দোকান ও গ্যারেজ, এমনকি বস্তিও। এর ফলে রাস্তার পাশের পানি নিষ্কাশনের ড্রেনগুলো প্রায় বিলুপ্তই হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইব্রাহীম আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই এলাকার রাস্তাগুলির বেহাল দশা দেখার কেউ নাই।”

এখন অনেক বছর পর নির্বাচিত সিটি করপোরেশনের নতুন নেতৃত্বের প্রতি তার প্রত্যাশার কথা বলেন তিনি।

“এখন যেন নতুন কাউন্সিলর এই রোডগুলি খুব জলদি ঠিক করার ব্যবস্থা করেন। আর সেসঙ্গে ড্রেনগুলিও ঠিকঠাক করে দেন- সেটাই চাওয়া। রাস্তার লাইটগুলিও যেন রাতে জ্বলে।”