বাহাদুর শাহ পার্ক নিয়ে তৎপর সিটি করপোরেশন

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাহাদুর শাহ পার্কের অব্যবস্থাপনা সরেজমিনে দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনসার আলী খান।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2015, 03:44 PM
Updated : 28 June 2015, 11:48 AM

শনিবার সকালে এই পার্ক নিয়ে ‘জনদুর্ভোগ পাতায়’ একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

‘বাহাদুর শাহ পার্কের রক্ষকই ভক্ষক’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর বেলা ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে যান আনসার আলী খান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদনে তুলে ধরা বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে।

আনসার আলী খান বলেন, “এগুলো আসলে আমাদের কেউ বলে না। এগুলো আপনারা স্মরণ করিয়ে দিলেই ভালো হয়।”

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা বিভিন্ন জনদুর্ভোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি আজকে পার্কে এসে বিষয়গুলো দেখলাম। আসলে ওখানে স্বাভাবিকভাবে দুটি কনটেইনার থাকার কথা। ওখানে দুটি কনটেইনার রাখার ফাউন্ডেশন আছে। ফলের মৌসুমে অতিরিক্ত ময়লার কারণে একটি অতিরিক্ত কনটেইনার দেওয়া হয়।”

পার্ক সংলগ্ন রাস্তা দখল করে সিটি করপোরেশনের বড় বড় তিনটি কনটেইনার ফেলে রাখায় বর্জ্যের দুর্গন্ধে পথচারী ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরা হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ওই প্রতিবেদনে।

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের ভেতরে রাখা সিটি করপোরেশনের নির্মাণসামগ্রী।

পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক দখল করে রাখা অবৈধ দোকানগাড়ি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “আমি ‍গিয়ে দেখলাম অতিরিক্ত কনটেইনারটা রাস্তার মাঝখানে রাখা হয়েছে। আসলে ওটা তো ওভাবে রাখার কথা না। ঠিক করে রাখার কথা, রাখবে ফাউন্ডেশনের উপরে। আমি ইন্সট্রাকশন দিয়ে এসেছি, সতর্ক করে দিয়েছি।”
এছাড়া পুরান ঢাকার সাতটি রাস্তার সংযোগস্থলে অবস্থিত ডিম্বাকৃতির পার্কসংলগ্ন ফুটপাত ফল বিক্রেতা, মুদি দোকানি, মুচি ও রিকশা মেরামতকারীদের দখলে চলে যাওয়ার বিষয়েও তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ দোকানগুলো নিয়ে তো আমাদের বিপদ, সারা ঢাকা শহরে একই অবস্থা। ফুটপাতের দোকানগুলো আমি সরিয়ে দিয়ে এসেছি। তবে আমি বলতে পারছি না যে তারা কালকে বা আজকে আবার বসবে না। তবে আমাদের লোকদের বলে এসেছি দেখার জন্য।”

এছাড়া পার্কের ভেতরে অব্যবস্থাপনার প্রসঙ্গে বেশকিছু দিকনির্দেশনা দেন আনসার আলী খান।

তিনি বলেন, “ভেতরে গিয়ে দেখলাম এক জায়গায় পানি জমে আছে, সেখানে বালি দিতে বলেছি। দেখা যাক কিছু করা যায় কি না। আরেক জায়গার পানি দেখে আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ড্রেন কেটে পানি বের করে দিয়ে এসেছি।”