অনেকবার বলার পরও এই রাস্তার উন্নয়নে কর্তৃপক্ষের সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ পোস্তগোলাবাসীর।
এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, রাস্তাঘাট ঠিক করার বিষয়ে বর্ষার পরে নতুন বাজেটের অপেক্ষায় আছেন তারা।
ঢাকা দক্ষিণের অনত্যম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা পোস্তগোলা; পোস্তগোলা চৌরাস্তা থেকে ফরিদাবাদ পর্যন্ত রাস্তাটিই এ এলাকার মূল সড়ক। দৈনন্দিন নানা প্রয়োজনে পোস্তগোলা ছাড়াও আশপাশের করিমউল্লাহ বাগ, আলমবাগ, শ্যামপুর ও জুরাইন এলাকার লোকজন এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।
রিকশা উল্টেপড়াসহ নানা দুর্ঘটনা এই সড়কের নিত্যদিনের চিত্র বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়দের অনেকে।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মো. মোবারক হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রাস্তায় প্রতিদিন অন্তত দুই/একটা রিকশা উল্টায় অথবা গাড়ির চাকা গর্তে পড়ে যায়।
“কিছুদিন আগে একবার একটি রিকশা উল্টে একজন অন্তঃস্বত্ত্বা নারী পড়ে গিয়েছিলেন। তার অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল।”
দেশের অন্যতম প্রধান লোহার বাজার পোস্তগোলা এলাকায় হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অনেক মালবাহী বিশেষত লোহাবোঝাই ট্রাক চলাচল করে।
স্থানীয় লোহা ব্যবসায়ী মো. জালালউদ্দিন বলেন, “চার বছর আগে রাস্তাটি একবার মেরামত করা হয়েছিল। এরপর এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে মাটি, বালু ফেলে গর্তগুলো ভরাট করে।”
গত রোববার সরেজমিন পরিদর্শনের সময় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জনদুর্ভোগ অনুসন্ধানকারী দলের সামনেই সড়কে রিকশা উল্টে রাস্তায় পড়ে আহত হন একজন।
রাস্তার বেহাল অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল আহম্মেদ।
তিনি বলেন, “আগে তো তবু টুকটাক সংস্কার হত, গত দুই বছর ধরে কোনো কাজই হচ্ছে না।
“আমরা শুধু শুনি টেন্ডার হয়েছে, ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। কিন্তু কাজ আর শুরু হয় না। সিটি নির্বাচনের পর কাউন্সিলর সাহেব চেষ্টা করেছেন, তাতেও কোনো লাভ হয়নি।”
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী আনসার আলি খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাকার বিভিন্ন রাস্তার সংস্কার প্রয়োজন- তা আমরা জানি। কিন্তু এখন ফান্ড স্বল্পতার কারণে আমরা এ সংক্রান্ত কোনো কাজে হাত দিতে পারছি না।”
বর্ষার পর সিটি করপোরেশনের বাজেট হওয়ার কথা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই সংকট থাকবে না। ফান্ড হাতে পেলে যত দ্রুত সম্ভব সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত সড়কগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হবে।”