বেহাল পথের ভয়ে ‘এক জনপদ’

ভাঙ্গা সড়ক আর জমে থাকা নোংরা পচা পানিতে প্রতিদিনই নাজেহাল হচ্ছেন রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত বাণিজ্যিক এলাকা কারওয়ানবাজারের একটি অংশের অধিবাসী ও পথচারীরা।

হাসিবা আলী বর্ণাবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2015, 04:20 PM
Updated : 26 July 2015, 04:20 PM

আম্বর শাহ মসজিদের পাশের রাস্তার এই বেহাল দেখলে যে কেউ বলবেন কতোটা অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে সড়কটি। বর্ষায় নোংরা কাদা-পানিতে ভোগান্তির মাত্রা বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আম্বর শাহ মসজিদের পাশের দক্ষিণের রাস্তাটিতে উপচে পড়ছে ড্রেনের নোংরা পানি। দীর্ঘদিন পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে খানা খন্দ। এর সঙ্গে বৃষ্টির পানি মিশে পায়ে হাঁটা এক প্রকার অসম্ভবই।

ভিআইপি সড়ক কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউতে বের হওয়া ও কারওয়ানবাজারে ঢোকার এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে রিকশা, গাড়িসহ অন্য যানবাহন চলাচল করছে নিতান্ত বাধ্য হয়ে। তবে এ জন্য ভাড়া গুণতে হয় কয়েকগুণ।

শুধু এই রাস্তাটিই নয়, কারওয়ান বাজার রেল ক্রসিংয়ের আগে কাঁচা সবজি মজুদ করার রাস্তাগুলোও ভাঙ্গা ও কাদা-পানিতে সয়লাব থাকে বছরের অধিকাংশ সময়। এ রাস্তাতেও ঝুকিঁ নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।

রাস্তার এমন দশায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এখানকার ব্যবসায়রীরাও।

ফলব্যবসায়ী মো. রসুল ভূঁইয়া যেমন জানালেন, রাস্তার কারণে কেনা-বেচা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনকি কিছুদিন আগে এখানকার খানা-খন্দে পড়ে এক পথচারী পা ভেঙ্গেছেন।

“ড্রেনের পানি, বৃষ্টির পানি জমে কোথায় কোথায় গর্ত হইছে দেখাও যায় না। হাঁটতে গিয়া স্লিপ কইরা গর্তে পইড়া রোজার মধ্যে আমার এক কর্মচারী পা ভাঙ্গছে ওইখানে। এখনও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতেছে।”

মসজিদের সামনে এক মুসল্লি অভিযোগ করলেন, এবড়ো থেবড়ো রাস্তায় ময়লা পানি পাড় হয়ে পরিষ্কার কাপড় বা ওজু করে মসজিদে আসা যায় না।

“মসজিদ পর্যন্ত আসার আগেই অপরিষ্কার হয়ে যায় মুসল্লিদের হাত-পা, কাপড়। ময়লা পানির দুর্গন্ধ তো আছেই।”

এ তো গেল রাস্তার দুরবস্থা। তার সঙ্গে বাড়তি ভোগান্তি যোগ করেছে রাস্তার অর্ধেক দখল করে থাকা খাদ্য পণ্য ও ভাঙ্গারিসহ বিভিন্ন দোকান। এতে রাস্তাটি সংকুচিত হয়ে যান চলাচলের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে প্রতিনিয়ত।

এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিগগির সুরাহার আশ্বাস দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণব কুমার ঘোষ।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, বৃষ্টি কমে গেলে শিগগির কারওয়ানবাজারের রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করবেন তারা।

“এই রাস্তাটিতে ওয়াসার কিছু কাটিং কাজ চলছে, রাস্তার পাশেই সরকারি একটি ভবন উঠছে। ফলে আমাদের কাজ স্থগিত রাখতে হয়েছে। এছাড়া দুটি সংস্থার কাজ একসঙ্গে করলে কিছুদিন ওয়েট করতেই হয়।”