ফরিদপুরে বেহাল মহাসড়ক

ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর অংশে ভেঙে খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে চলাচলকারী পরিবহনগুলোকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিমফিজুর রহমান শিপনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2015, 12:02 PM
Updated : 13 Sept 2015, 12:02 PM

গত তিন মাসে এই সড়কে ৪০ লাখেরও বেশি টাকার জরুরি সংস্কার কাজ হলেও তা ধুয়ে গেছে বৃষ্টির পানিতে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের খুলনাগামী গঙ্গাবর্দী, কানাইপুর বাজার, পরীক্ষিতপুর, মধুখালী রেলগেট, বাজারসংলগ্ন এলাকা ও বাগাট বাজার এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ।

এসব এলাকার সড়কজুড়ে ছোট-বড় গর্ত। বৃষ্টি হলে চলাচল করা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

এদিকে, সড়ক বিভাগ বলছে এই সড়কে তিম মাস ধরে জরুরি মেরামত কাজ চলছে।

ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহিবুল্লাহ সুমন বলেন, “মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে আমরা চারটি গ্রুপে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছি।”

“মাঝেমধ্যে বৃষ্টির কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হতে হচ্ছে আমাদের।”

সড়ক বিভাগের ফরিদপুর কার্যালয় জানায়, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাগুরার ওয়াপদা থেকে রাজবাড়ীর বসন্তপুর পর্যন্ত ৪৯ কিলোমিটার অংশ ফরিদপুর সড়ক বিভাগের মধ্যে পড়েছে।

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার পড়েছে এ সড়ক বিভাগের অধীনে।

ফরিদপুর সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, “ঈদুল ফিতরের আগে থেকেই আমরা মহাসড়ক দুইটিতে জরুরি কাজ করে যাচ্ছি।”

অতিবৃষ্টির কারণে কাজে ব্যাপক বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ফরিদপুর সড়ক বিভাগের তত্তাবধানে গত তিন মাস প্রায় ৪০ লাখের বেশি টাকার কাজ হয়েছে।

ঢাকা থেকে খুলনাগামী সোহাগ পরিবহনের চালক হালিম মিয়া বলেন, প্রতিদিন এই মহাসড়কের চলাচলকারী হাজার হাজার ভারী ও হালকা সবধরনের যান অসুবিধায় পড়ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রাংশ। দুর্ঘটনাও ঘটছে।

দ্রুত মেরামত না করলে ভাড়ী গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।

মধুখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজার মোল্লা বলেন, ফরিদপুর থেকে কামারখালী পর্যন্তু মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে কয়েক হাজার গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সদর উপজেলার কানাইপুর  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফকির বেলায়েত হোসেন জানান, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুর অংশে সম্প্রতি কিছু কাজ হয়েছে, কিন্তু সড়কে কাজ শেষ হতে না হতেই তা বৃষ্টির পানিতে ধুয়ে গেছে।

ফরিদপুর শহরের বাসিন্দা ভাঙ্গা কে এম কলেজ শিক্ষক সৌমিত্র মজুমদার পলাশ বলেন, রাস্তা খারাপ থাকায় গাড়িতে করে কলেজে যেতে নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগে।

যশোর থেকে ঢাকাগামী কাভার্ড ভ্যানের চালক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, যশোর থেকে মাগুরা পর্যন্ত সড়কটি ততটা খারাপ নয়। কিন্তু কামারখালী সেতু পার হলেই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

সড়ক বিভাগ ফরিদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “৪/৫ দিন হলো কাজে যোগ দিয়েছি। এরই মধ্যে দুদিন সরেজমিনে মহাসড়ক দুটি পরিদর্শন করেছি।”

“ইতিমধ্যে খানাখন্দ ভরাট করাসহ সড়ক দুটি চলাচলের উপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।”

ঈদুল আযহার আগেই সড়কের এই সমস্যা লাঘব করা হবে বলে জানান তিনি।