ঝকঝকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উল্টো দিকে অবস্থিত এই ইউনিয়নের রাস্তাগুলো মাঝে মধ্যে ইট-সুরকি আর বালু ফেলে ‘সাময়িক মেরামত’ করা হলেও বর্ষায় অধিকাংশই ব্যবহারের উপযোগিতা হারায়।
এই ইউনিয়ন সংলগ্ন আশকোনায় হজ ক্যাম্পের অবস্থান হওয়ায় কিছুদিন আগে বিমানবন্দর রেলক্রসিং থেকে মূল দক্ষিণখানে ঢোকার রাস্তাটি মেরামত করা হয়েছে।
তবে বিমানবন্দর-কসাইবাড়ি রাস্তা একেবারেই বেহাল। পুরো রাস্তাজুড়েই ছোট-বড় গর্তে জমে আছে বৃষ্টির পানি। একই অবস্থা কাওলা-শিয়ালডাঙা, কাঁচকুড়া এবং আশকোনা কলেজ রোডেরও।
রাস্তাগুলোর এ অবস্থা নিয়ে খেদ প্রকাশ করে কাওলা বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল মোতালেব বলেন, “রাস্তার কথা কি কমু! এইডা কোনো রাস্তা? মাঝে মাঝে ইচ্ছা করে গর্তের পানিতে মাছ ছাইড়া দেই।”
পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তির মাত্রা আরো বেশি বলে জানান এলাকার বাসিন্দা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা শামসুজ্জামান শামীম।
“স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা না থাকায় সারা বছরই রাস্তায় পানি জমে থাকে। আগে লোকজন কম ছিল, সমস্যা হলেও ম্যানেজ করে চলা যেত। কিন্তু গত কয়েক বছরে এলাকায় লোকজন বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তি এখন চরমে।”
সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ কখনোই নেওয়া হয়না বলে জানালেন সরকারি তিতুমীর কলেজের সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. শরীফুজ্জামান।
তিনি বলেন, “মাঝে মাঝে মেম্বার (কাউন্সিলর) সাহেবের উদ্যোগে এলাকাবাসী বালু, সুরকি ফেলে গর্তগুলো ভরাট করলেও বৃষ্টি হলেই সেসব ধুয়ে যায়।”
অবশ্য শিগগিরই রাস্তার এই ভোগান্তি আর থাকবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণখান ইউনিয়ন পরিষদের কাউন্সিলর শফিউদ্দিন মোল্লা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বারবার দৃষ্টি আকর্ষণের পর এবছর মন্ত্রণালয় থেকে রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য দুই কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। গত রোজায় টেন্ডারও পাস হয়েছে।”
বর্ষা শেষ হলেই রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।