পুরো পার্কজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আবর্জনা, মাটি ও গাছে পার্কের ‘বাসিন্দাদের’ শুকাতে দেওয়া কাপড়, ভ্রমণে আসা মানুষদের জন্য করা ছাউনির নিচে মাদকসেবী ও ভবঘুরেদের অলস সময় কাটানো, এখানে-ওখানে অস্থায়ী বসতি, ভাঙা বেঞ্চ- ফার্মগেইট পার্কের ‘অলঙ্কার’ এখন এগুলোই।
পার্কের ঢুকলেই মনে হতে পারে, এটি বুঝি ময়লার ফেলারই জায়গা। দিনভর কুড়িয়ে আনা কাগজ, পলিথিন পার্কে এনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে ভবঘুরেরা। পার্কের ভেতরেই আখের রস ও আমড়ার দোকানিরা বর্জ্য ফেলছেন। স্তূপাকার আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ ছড়ালেও দেখার কেউ নেই।
পার্কে কাগজ ও পলিথিন শুকানোর সময় কথা হয় মনির হোসেন নামে একজনের সঙ্গে। কোনো বাধা না থাকায় এখানে অনেকেই এসব শুকাতে আসেন বলে জানান তিনি।
পার্কে বসতি গড়া মাদারীপুরের সুফিয়া বেগম জানান, স্বামীর সঙ্গে সিলেটে থাকলেও মনোমালিন্যের কারণে তিনদিন হলো ঢাকায় এসেছেন কাজের সন্ধানে। তবে কাজ পাননি।
“এখানে যারা থাকেন তারা অনেকেই মাদারীপুরের, পাশের ঘরে যে বুড়া-বুড়ি থাকেন তারা আমার এলাকার। তাই থাকতে দিছেন। একদিন পুলিশ এসে তাদের জিগাইছিল আমি কে, এছাড়া আর কোনো সমস্যা হয়নি। কাজ পাইলে চইলা যাব,” বলেন তিনি।
এতো গেল ফার্মগেইট পার্কের দিনের বেলার চিত্র। অন্ধকার নামতেই পার্কের চেহারাও বদলে যেতে থাকে। রাতে এই পার্ক চলে যায় ভাসমান যৌনকর্মী আর দালালদের দখলে। গভীর রাত অবধিও থাকে এদের আনাগোনা।
এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম এনামুল হক জানান, পার্কটি গণপূর্ত অধিদপ্তরের অধীনে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমেদ ভূইয়াকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।