ইউরোপে স্বেচ্ছামৃত্যু মামলা প্রত্যাখ্যান

স্বেচ্ছা মৃত্যুর অধিকারের পক্ষ সমর্থন করে যুক্তরাজ্যের দুই নাগরিকের করা মামলা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2015, 05:11 PM
Updated : 16 July 2015, 05:11 PM

বিবিসি জানায়, জেন নিকলিনসন (লকড-ইন সিনড্রমে আক্রান্ত টনি নিকলিনসনের স্ত্রী) এবং পল ল্যাম্ব (গাড়ি দুর্ঘটনার পর থেকে মাথা ছাড়া শরীরের বাকি অংশ অচল) স্বেচ্ছা মৃত্যুর পক্ষ সমর্থন করে আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যের স্ট্রাসবার্গে সেচ্ছ্বা মৃত্যু-বিরোধী একটি আইনের বিপক্ষে আবেদন জানিয়ে মামলা করেছিলেন তারা। কিন্তু গত বছর জুনে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট এ আবেদন বাতিল করার পর তারা শরণাপন্ন হন ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের।

কিন্তু ইউরোপীয় আদালত এ মামলা প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এ ধরনের সংবেদনশীল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টই ‘শ্রেষ্ঠ স্থান’।

নিকলিনসনের কন্যা লরেন বিবিসি’কে বলেন, আদালতের রায়ে তিনি ‘ভেঙে’ পড়েছেন। তার মতে স্বেচ্ছামৃত্যু আইনে কিছু কিছু স্থানে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

“এর অর্থ কি দাঁড়ালো? এজন্য জনগণকে সুইজারল্যান্ডে  যাওয়া অব্যাহত রাখতে হবে। আমরা আমাদের সমস্যা আরেক দেশে নিয়ে যাব.... জনগণ দুর্ভোগ পোহাতে থাকবে।”

১৯৬১ সালের আইনানুযায়ী, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে আত্মহত্যা বা আত্মহত্যা চেষ্টায় সহায়তা করা বা উসকানি দেয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এজন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

২০০৫ সালে স্ট্রোকের পর উইলশায়ারের বাসিন্দা টনি নিকলিনসনের ঘাড়ের নিচ থেকে শরীরের বাকি অংশ অচল হয়ে যায়।

চিকিৎসকদের তার মৃত্যুতে সহায়তা করার অনুমতির জন্য তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। কিন্তু ২০১২ সালে যুক্তরাজ্যের একটি আদালত এর বিরুদ্ধে রায় দেয়।

এরপর তিনি খাবার গ্রহণ বন্ধ করে দেন এবং এক পর্যায়ে নিউমেনিয়া আক্রান্ত হয়ে ৫৮ বছর বয়সে মারা যান।

অন্যদিকে, ২০ বছর আগে একটি গাড়ি দুর্ঘটনার পর পল ল্যাম্বের ঘাড়ে নিচ থেকে শরীরের বাকি অংশ প্রায় অচল হয়ে যায়। ল্যাম্ব জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে তার শরীরের ক্রমাগত প্রচণ্ড ব্যাথা হয়।