দেড়কোটি এইডস রোগীকে চিকিৎসার লক্ষ্য পূরণ

২০১৫ সালের মধ্যে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত দেড় কোটি মানুষকে চিকিৎসার আওতায় আনার লক্ষ্য এরই মধ্যে পূরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের এইডস এজেন্সি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2015, 03:52 PM
Updated : 14 July 2015, 03:52 PM

নির্ধারিত সময়ের নয় মাস আগে, মার্চ মাসেই এই মাইলফলকে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।

২০০০ সালে জাতিসংঘ প্রথম এইচআইভি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে । ওই সময় সাত লাখের কম মানুষ এইচআইভি চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধগুলো পেত।

মঙ্গলবার ‘ইউএন এইডস’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ প্রতিবেদন অনুযায়ী, এইচআইভি রোধের বৈশ্বিক লড়াইয়ে তিন কোটি মানুষকে নতুন করে এইডস সংক্রমণ হওয়া থেকে বাঁচানো গেছে। গত এক সহস্রাব্দে এইডসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ মৃত্যু বরণ করেছে।

তবে এইচআইভি তে আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কমছে। আগে বিশ্বে প্রতি বছর ২৬ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হত। এখন সেটা কমে ১৮ লাখ হয়েছে।

এইচআইভি এবং এ সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যাও কমেছে। এই সংখ্যা ১৬ লাখ থেকে কমে ১২ লাখ হয়েছে।

আর এইচআইভি প্রতিরোধে বিনিয়োগ বেড়েছে। ২০০০ সালে এইচআইভি’র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৪৮০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছিল। ২০১৪ সাল নাগাদ ওই বিনিয়োগ বেড়ে দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার হয়েছে।

ইউএন এইডস’র পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী পাঁচ বছরের সমন্বিত উদ্যোগের ফলে ২০৩০ সাল নাগাদ এইডস মহামারির অবসান হবে।

তবে জতিসংঘের পক্ষ থেকে এটাও বলা হয়েছে যে, কিছু কিছু এলাকায় এইডস এর বিরুদ্ধে লড়াই কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এখনো অনেক মানুষের মধ্যে এইচআইভি নিয়ে সচেতনতার অভাব রয়েছে। চিকিৎসা শুরু করার ক্ষেত্রে এটি সবচেয়ে বড় বাধা।

আর প্রাপ্ত বয়স্কদের তুলনায় শিশুদের চিকিৎসা আরো দেরিতে শুরু হয়। যদিও ধীরে ধীরে এ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন বলেন, “এইডস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া কমিয়ে আনা হবে এবং তা বন্ধ করে বিশ্বকে এ রোগের হাত থেকে উদ্ধার করা হবে।”

“টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য আমাদের অবশ্যই এইডস মহামারি অবসানের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী পাঁচ বছর খুব কঠিন সময় পার করতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে এইডস মহামারির অবসান ঘটাতে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পূর্ণমাত্রায় বিনিয়োগের পরামর্শও দেয়া হয়েছে।