লাইবেরিয়ায় কয়েকদিন আগে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির মৃতদেহ পরীক্ষা করে তার শরীরে ইবোলা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
দেশটির উপ স্বাস্থ্যমন্ত্রী টলবের্ট ইয়েন্সওয়াহ বলেন, প্রধান বিমান বন্দরের কাছের একটি শহরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
মৃতদেহ পরীক্ষা করে ইবোলার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ওই তরুণ কিভাবে ইবোলায় সংক্রমিত হলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ইবোলা মহামারি কাটিয়ে সাত সপ্তাহ আগে লাইবেরিয়াকে ইবোলা মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। নতুন করে আবার ইবোলার কারণে মৃত্যু লাইবেরিয়া সরকারকে গভীর দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে এখনই আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নাগরিকদেরকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
জনগণকে স্বাভাবিক জীবন যাপনের পরামর্শ দেয়ার পাশাপাশি মারা যাওয়া ওই কিশোরের মৃতদেহ সঠিকভাবে সৎকার করা হয়েছে বলে জানান সরকারি কর্মকর্তারা।
ওদিকে, সিয়েরা লিওনের রাজধানী ফ্রিটাউনেও নতুন করে দুইজন ইবোলা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান, ফ্রিটাউনের একটি ঘন বসতিপূর্ণ বস্তিতে ওই দুইজন ইবোলা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়।
কয়েক সপ্তাহ আগে সিয়েরা লিওনকে ইবোলা মুক্ত ঘোষণা করার পর দেশটিতে ফের নতুন করে এ ইবোলা সংক্রমণ ঘটল।
সিয়েরা লিওনের ন্যাশনাল ইবোলা রেসপন্স সেন্টার জানায়, এটি গভীর উদ্বেগের বিষয়। কারণ ফ্রিটাউনে ইবোলা রোগীদের রাখার জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল সেগুলো সব বন্ধ হয়ে গেছে।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর সারা বিশ্বে ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে ১১ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। যাদের অধিকাংশই লাইবেরিয়া, গিনি ও সিয়েরা লিওনের নাগরিক ছিলেন।