বিশেষজ্ঞদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৪ সালে গিনিতে প্রায় ৭৪ হাজার ম্যালেরিয়া রোগী চিকিৎসা পায়নি।
চিকিৎসা না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তারা বলেন, ইবোলার কারণে বেশিরভাগ ক্লিনিক বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া, অনেক রোগী ইবোলা ভাইরাসের সংস্পর্শে চলে আসার ভয়ে হাসপাতালেই আসেনি।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইবোলার প্রাদুর্ভাবের সময় থেকে গিনিতে এ ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ মারা গেছে তার চেয়ে বেশি হবে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা।
ইবোলার প্রাদুর্ভাবের সময় গিনির হাসপাতালগুলোতে বহির্বিভাগের রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে কমে যায়। বিশেষ করে যেসব এলাকায় ইবোলা মারাত্মক হারে ছড়িয়ে পড়েছিল ওইসব এলাকায় বহির্বিভাগে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে আসে। সেইসঙ্গে ম্যালেরিয়ার চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের সংখ্যা ৬৯ শতাংশ কমে যায়।
এর ফলে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে গিনিতে ইবোলার প্রকোপ অনেক কমে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত কয়েক সপ্তাহে গিনিতে ১০ জন ইবোলায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কিন্তু এ অঞ্চলে ম্যালেরিয়া দীর্ঘদিনের সমস্যা। বিশেষ করে শিশুরা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৩ সালে বিশ্বে প্রায় ৫ লাখ ৮৪ হাজার মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। যাদের অধিকাংশই আফ্রিকার বাসিন্দা, বিশেষ করে শিশু।