সিগারেটে সচিত্র সতর্কবাণী বাধ্যতামূলক হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী

আগামী বছরের মার্চ থেকে তামাকজাত দ্রব্যর মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী দিতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2015, 10:12 AM
Updated : 28 May 2015, 01:16 PM

একইসঙ্গে বিড়ি ও সিগারেটের খুচরা বিক্রি বন্ধ, খোলা সাদা পাতা বিক্রি নিষিদ্ধ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণের উদ্যোগও নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইন বাস্তবায়নে যথেষ্ট অগ্রগতি হলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

“তামাকজাত দ্রব্যর বিক্রয় স্থলে বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে আইন লঙ্ঘনে উৎসাহী করছে তামাক কোম্পানিগুলো। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অবৈধ বিজ্ঞাপন অপসারণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

“সংশোধিত আইনের বিধিমালা অনুযায়ী, আগামী বছর মার্চ থেকে তামাকজাত দ্রব্যর মোড়কে ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান করতে হবে, যা তামাকের ক্ষতিকর বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

সামনের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের কর বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের সর্বনিম্ন মূল্য বাড়াতে হবে। বিড়ি, সিগারেটের খুচরা বিক্রি বন্ধ ও খোলা সাদাপাতা বিক্রি নিষিদ্ধ করতে হবে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০০৪ সালের একটি গবেষণার বরাতে তিনি জানান, তামাক খাতে সরকার বছরে প্রায় দুই হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় করলেও তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা, অকাল মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের কারণে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়। এ খাতে নীট ক্ষতির পরিমাণ দুই হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তামাকজাত দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ কর’।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সব জেলায় এই দিবস উদযাপন করা হবে। ইতিমধ্যে সব জেলার প্রশাসক ও সিভিল সার্জনদের বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৩১ মে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে সকাল সাড়ে ৮টায় শোভাযাত্র অনুষ্ঠিত হবে। ওসমানী মিলনায়তনে সকাল ১০টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এ সময় স্বাস্থ্য সচিব সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নুরুল হকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।