রোববার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম হাসপাতালের বর্ধিত সুবিধার উদ্বোধন করে বলেন, বাংলাদেশজুড়ে ক্যান্সার চিকিৎসার উন্নয়নে সরকার কাজ করবে।
“আমরা অনেক সংক্রামক রোগ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করেছি। তবে এখন ক্যান্সারের বিস্তার ঘটছে। এটাও আমাদের সামাল দিতে হবে।”
তিনি বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য যেখানে প্রয়োজন নতুন পদ তৈরি করা হবে এবং নতুন সরঞ্জামাদিও কেনা হবে।
দেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা নিয়ে কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও প্রতিবছর আড়াই লাখ মানুষ এই রোগের চিকিৎসা নেন বলে চিকিৎসকরা বলে থাকেন।
তবে অনিরাময়যোগ্য এই রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখনও শুধু রাজধানী ঢাকাতেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
মাদারীপুর থেকে এই হাসপাতালে এসেছেন ক্যান্সার আক্রান্ত পঞ্চান্ন বছর বয়সী দাদেন চৌধুরী। তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিকিৎসক তাদের ঢাকায় আসার পরামর্শ দিয়েছেন।
ক্যান্সার গবেষক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্যান্সার রোগের প্রবণতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিকিৎসা সুবিধার উন্নয়ন ঘটছে না।
“ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে গিয়ে মানুষকে তাদের জমি-জমা পর্যন্ত বিক্রি করে সর্বস্বান্ত হতে হয়, তাদের কিছুই করার থাকে না।”
তার পরামর্শ, ব্যয়বহুল এই চিকিৎসার ব্যবস্থাটির বিকেন্দ্রিকরণ প্রয়োজন, যাতে প্রত্যেকটি বিভাগে একটি করে আঞ্চলিক ক্যান্সার সেন্টার থাকে।
তার প্রশ্ন, “খুলনায় সরকারি মেডিকেল কলেজ থাকার পরও কেন সাতক্ষীরা থেকে একজন রোগীকে ঢাকায় আসতে হয়?”
বর্তমানে ১৪টি পুরনো মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার বিভাগ রয়েছে।
“এগুলোর মধ্যে মাত্র আটটি ক্যান্সার চিকিৎসা সেবা দিতে পারে- তাও পুরনো সরঞ্জামাদি দিয়ে।”, বলে এই চিকিৎসক।
চিকিৎসকরা বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসার তুলনামূলক ভাল ফল পেতে প্রাথমিক স্তরেই রোগ নির্ণয় প্রয়োজন।