রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে গণমাধ্যমের সম্মুখে বাজেট ট্র্যাকিং প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় তিনি এ দাবি করেন।
আবু ইউসুফ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন বাজেট বিশ্লেষণ করে লক্ষ্য করা যায় গত চার অর্থবছরে ১০ ভাগেরও বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে জনপ্রশাসন, শিক্ষা ও প্রযুক্তি এবং সুদ পরিষশোধে। অপরদিকে একই সময়ে পাঁচ ভাগের চেয়ে কম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য খাতে।
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক ভাবে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগণের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এই খাতে সরবরাহ ভিত্তিক অর্থায়ন কৌশল অনুসরণ করা হয়। একটা বিশাল অংকের স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় (৬৪%) কেন্দ্রীয় বরাদ্দের বাইরে থেকে ব্যয় করা হয়, যা সুস্বাস্থ্য ও মানসম্পন্ন সেবার জন্য জনগণের অর্থব্যয়ে আগ্রহের নির্দেশক।
আবু ইউসুফ সিলেট সদরের কয়েকটি মেডিকেলের ওপর গবেষণা করে প্রতিবেদনে বলেন, সিলেট সদর মেডিকেল কলেজের বাইরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুধুমাত্র প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হয়।
ইউপিএইচএফও এর মতে তারা মূলত প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে এবং প্রতিরোধযোগ্য রোগের সেবার ক্ষেত্রে সরকারি নীতি বাস্তবায়ন করে।
উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন, অনুমোদন, বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন সবই কেন্দ্রীয় ভাবে করা হয়। সেখানে জনমত গ্রহণ করা হয় না।
বাজেট প্রণয়নের পূর্বে জনমত গ্রহণ করা উচিত বলেও মনে করেন আবু ইউসুফ।
সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযানের সভাপতি অ্যালিসন সুব্রতের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক তৈয়বুর রহমান।