বুধবার এই পরিদর্শনের সময় বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি ঢাকায় দেশটির দূতাবাস কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশে কর্মরত ‘ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’ বিভাগের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে বিমানবন্দর এলাকা ঘুরে ইবোলা প্রতিরোধের প্রস্তুতি দেখেন ‘বাংলাদেশ সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল’র পরিচালক বে-নজীর আহমেদ। তিনিও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের পরিদর্শনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মার্চ থেকে প্রাণঘাতী ভাইরাস ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে ৪ হাজার ৪৪৭ জন মারা গেছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে। তাদের অধিকাংশই মারা গেছেন পশ্চিম আফ্রিকায়।
পশ্চিম আফ্রিকার ইবোলা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া ও গিনি। গত বছর ডিসেম্বরে ইবোলা সংক্রমণ শুরু হলেও মার্চে তা চিকিৎসকদের নজরে আসে।
তবে এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ডালাস হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় স্বাস্থ্যকর্মী নিনা পাহমের দেহে ইবোলার ভাইরাস ধরা পড়ে। তিনি লাইবেরীয় নাগরিক থমাস ডানক্যানের চিকিৎসায় নিয়োজিত ছিলেন। মঙ্গলবারও দেশটিতে আরেক স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে ইবোলা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়।
এর পরপরই যুক্তরাষ্ট্র সরকার ইবোলা নিয়ে বিশেষ সতর্কতা নিতে শুরু করে, তারই অংশ হিসেবে ঢাকায় তারা শাহজালাল বিমানবন্দর পরিদর্শন করল।
“তাই তাদের এই 'দুশ্চিন্তা'র যথাযথ কারণও রয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ও আমাদের প্রস্তুতি দেখে মার্কিন পরিদর্শক দল সন্তোষ প্রকাশ করেছে।”
সম্প্রতি শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়ে ইবোলা আক্রান্ত ছয়জন বাংলাদেশি লাইবেরিয়া থেকে দেশে আসেন। তাদের ব্যাপারে গণমাধ্যমে নানা আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবেদন ছাপানো হয়।
এ প্রসঙ্গে বে-নজীর আহমেদ বলেন, “তারা সুস্থ অবস্থাতেই দেশে ফিরেছেন।”
তিনি জানান, লাইব্রেরিয়া থেকে সরাসরি বাংলাদেশে আসার কোনো ফ্লাইট নেই। দেশে ফিরতে ওই ছয় বাংলাদেশিকে মরক্কো ও আলজেরিয়ার বিমানবন্দর দিয়ে আসতে হয়েছে। সেখানেও তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়েছে।
“বিমানবন্দরে তাদের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে। ইবোলার উপস্থিতির কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি।”