ইবোলা প্রতিরোধী ওই অভিযান চলাকালে বাসিন্দাদের টানা তিনদিন বাড়ির বাইরে না যাওয়ার নির্দেশ আগেই দিয়েছে সরকার।
শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানী ফ্রিটাউনের সড়কগুলোতে পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বহনকারী গাড়ি মহড়া দিতে শুরু করে। বেতারে ইবোলা নিয়ে সতর্কবার্তা প্রচার করার পাশাপাশি জনগণকে নিজ বাড়িতে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট আর্নেস্ট বাই কোরোমা বলেন, “দেশের সর্বত্রই এখন ইবোলার প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। তবে জনগণ যদি কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনে কাজ করে তবে আমরা সহজেই এ বিপদ থেকে মুক্ত হতে পারব।”
পশ্চিম আফ্রিকার চারটি দেশে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ইবোলায় আক্রান্ত হয়েছে। নিহত হয়েছে ২৬শ ৩০ জন।
তবে শুধু সিয়েরা লিওনেই ইবোলায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৫৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইবোলা পরীক্ষা করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে রোগ নির্ণয় অভিযান চালাতে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে দেশটির সরকার।
শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে টানা তিনদিন ওই অভিযান চলবে বলে জানা গেছে।
তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, শুক্রবার প্রথম দিনে অনেকটা ধীর গতিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। অভিযানের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক সরঞ্জাম এখনো হাতে পাননি বলে স্বাস্থ্যকর্মীরা জানিয়েছেন।
একজন সেচ্ছাসেবক রয়টার্সকে বলেন, “পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আমরা পরিকল্পিত লক্ষ্য পুরোপুরি অর্জন করতে পারব না।”
ওদিকে, দেশটির চেম্বার অব এগ্রিকালচারের নির্বাহী সম্পাদক আহমেদ নানোহ জানিয়েছেন, “অভিযানকে কেন্দ্র করে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য ৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। অনেকের বাড়িতে খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে।