এবোলা: পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘আন্তর্জাতিক সতর্কতা’ জারি করায় পশ্চিম আফ্রিকার প্রাণঘাতী এবোলা ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ।

নূরুল ইসলাম হাসিববিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 August 2014, 04:56 PM
Updated : 8 August 2014, 06:12 PM

তবে যেহেতু বাংলাদেশে এখনো এই ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি, তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান।

ডব্লিউএইচও বলছে, এবোলা যেভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তা ‘অভাবনীয়’। এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী আরো ছড়িয়ে পড়লে তার পরিণতি হবে মারাত্মক।

এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”

এবোলা ভাইরাসে আক্রান্তরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এবোলা বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রোগগুলোর একটি, যাতে ৯০ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়।

রোগটি সম্প্রতি পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।

আক্রান্ত ব্যক্তির থুথু, ঘাম, মল-মূত্র এমনকি বীর‌্য থেকে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগের কার্যকর চিকিৎসা কিংবা টিকা এখনো তৈরি হয়নি বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এবোলা পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করায় শুক্রবার আন্তর্জাতিক সতর্কতা জারি করে সংস্থাটি।

তবে প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ভাইরাসটি মোকাবেলা করার মতো সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে বলে দাবি করেছেন আইইডিসিআর পরিচালক মাহমুদুর রহমান।

তিনি বলেন, “আমাদের বিশ্বাস এই মুহূর্তে আমাদের সক্ষমতা আছে। আমরা প্রতিবছরই নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কাজ করছি। এবোলার মতো এই ভাইরাসে আক্রান্তেও মৃত্যুর হার অনেক।

“দ্রুততার সঙ্গে যে কোনো নতুন ভাইরাস শনাক্ত করার মতো ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা আমাদের রয়েছে।”

তবে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস শনাক্ত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত গবেষণাগার বাংলাদেশে থাকলেও এই মুহূর্তে এবোলা আক্রান্তদের পরীক্ষা করার মতো ব্যবস্থা সেখানে নেই বলেও স্বীকার করেন তিনি।

কিছু আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দ্রুত ভাইরাসটি শনাক্ত করার সুবিধা পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান মাহমুদুর রহমান।

“প্রয়োজন হলে এসব প্রতিষ্ঠানে আক্রান্তদের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো যাবে,” বলেন তিনি।

এদিকে পশ্চিম আফ্রিকায় এবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলে দায়িত্ব পালনরত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা নিরাপদে আছেন বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর।

পরিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং জাতিসংঘ সদর দপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।