দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার বিবিসি জানায়, এবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
গত রোববার নাইজেরিয়ার লাগোস বিমানবন্দরে পৌঁছার পর পাশের দেশ লাইবেরিয়ার সরকারি এক কর্মকর্তার শরীরে এবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। বিমানবন্দরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তিনি মারা যান।
এ ঘটনার পর বিমানের অন্যান্য যাত্রীদেরকেও পর্যবেক্ষণে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস এবোলা ওই অঞ্চলে নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ গিনিতে রোগটি প্রথম দেখা দেয়ার পর ধীরে ধীরে লাইবেরিয়া ও সিয়েরা লিওনের দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
এবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গিনি, লাইবেরিয়া, সিয়েরা লিওনসহ পাশের কয়েকটি দেশে ৬৬০ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ভাইরাসটির কার্যকর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে এবোলা ভাইরাস ছড়ায়। আক্রান্তদের ৯০ শতাংশই এই রোগে মারা গেছেন।