দূরের গ্রামের মানুষকে প্রযুক্তির মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান ডিজিটাল বাংলাদেশের ‘উজ্জল দৃষ্টান্ত’ হবে বলে মনে করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাজধানীতে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রীপুত্র বলেন, জাতীয় স্বাস্থ্য তথ্যভান্ডার গড়ে তোলারও পরিকল্পনাও রয়েছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের।
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘রিজিওয়াল হেলথ ইনফরমেটিকস’ সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির ভাষণ দেন জয়।
সজীব ওয়াজেদ বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার চিকিৎসাসহ নাগরিকদের মৌলিক অধিকার পুরণ করার লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রতিটি গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের একটি উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। গত পাঁচ বছরে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে।
“কিন্তু এখানে নানা সুবিধাদির ঘাটতি আছে, ডাক্তারের অভাব আছে। সব গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ডাক্তার পাওয়া যায় ঢাকা ও বড় শহরগুলোতে।”
গ্রামে ডাক্তারের অভাব পুরণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে জানিয়ে জয় বলেন, এক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
“স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে শহরের ডাক্তারদের সঙ্গে গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। রোগীরা শত শত মাইল দুরে থেকেও তাদের রোগের বিষয়ে সরাসরি কথা বলবেন ডাক্তারদের সঙ্গে এবং ডাক্তাররা চিকিৎসা দেবেন।”
“এটা হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের উজ্জল দৃষ্টান্ত (হলমার্ক)। এখনও উন্নয়নশীল দেশ, তাই আমাদের সমস্যা সমাধানে প্রচুর অর্থ খরচের বদলে উদ্ভাবনী পদ্ধতির দিকে যেতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সজীব ওয়াজেদ জয় ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের অন্যান্য পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।
মাতৃমৃত্য হার কমানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে যে সাউথ সাউথ পুরস্কার পেয়েছে সে প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন জয়।
সরকারের ২৫ হাজার ওয়বসাইট নিয়ে বিশ্বের ‘সর্ববৃহৎ ওয়েবপোর্টাল’ জাতীয় তথ্য বাতায়নের উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি।
জয় আরো বলেন, রোগীদের সম্পর্কে তথ্য জানতে ডাক্তারদের সুবিধার জন্য জাতীয় স্বাস্থ্য ডাটাবেজ তৈরি করা আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে।
সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম, জাতীয় পরিচয়পত্র উন্নত করার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।