যুক্তরাষ্ট্রেও ছড়াচ্ছে মার্স

সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছড়াচ্ছে মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম) করোনাভাইরাস সংক্রমণ।

>>রয়টার্স
Published : 13 May 2014, 01:34 PM
Updated : 13 May 2014, 01:34 PM

ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোয় সম্প্রতি দ্বিতীয় এক ব্যক্তির দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তবে রোগীর অবস্থা ভাল বলে জানান তারা।

৪৪ বছর বয়স্ক এ রোগী সৌদি আরবে থেকে কাজ করেন। স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যান তিনি। এরপর ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ৯ মে তে ভর্তি হন অরল্যান্ডোর ডক্টর. পি. ফিলিপস হাসপাতালে।

এর আগে গত মাসে ইন্ডিয়ানায় প্রথম এক ব্যক্তির দেহে মার্স ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ে। সৌদি আরব থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতেও এ ভাইরাস সংক্রমণের ফলে এখন গোটা বিশ্বেই এটি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে। মার্স ভাইরাসজনিত রোগের কোনো চিকিৎসা এখনো নেই। এ রোগ সংক্রমিতদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশই মারা যেতে পারে।

ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগ এক বিবৃতিতে বলেছে, ভাইরাস আক্রান্ত নতুন রোগী ১ মে সৌদি এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে জেদ্দাহ থেকে লন্ডনে যান। এরপর হিথ্রোতে বিমান বদল করে যান লন্ডন থেকে বোস্টনে। বোস্টন থেকে আরেক ফ্লাইটে তিনি আটলান্টায় যান এবং তারপর পৌঁছান অরল্যান্ডোয়।

ওই ব্যক্তি জেদ্দা ছাড়ার সময়ই অসুস্থ বোধ করছিলেন। কিন্তু শুক্রবারের আগ পর্যন্ত তার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অতটা খারাপ অবস্থা ছিল না। ১১ মে তে ওই ব্যক্তির দেহে মার্স সংক্রমণ ধরা পড়ার কথা নিশ্চিত করে জানায় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র সিডিসি।

এ ভাইরাস আক্রান্ত হলে জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়। সৌদি আরবে মার্স ভাইরাসে এ পর্যন্ত ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১২ সালে প্রদুর্ভাব ঘটা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে আরো পাঁচ শতাধিক মানুষ।

মার্চ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে উটের ভূমিকা থাকার কথা এক গবেষণায় পাওয়ার পর সৌদি আরবের কৃষি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সবাইকে উট থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ।