সরকারের রোগ পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইইডিসিআর বলছে, জাপানিজ এনকেফালাইটিজ (জেই) নামের এই সংক্রমণে আক্রান্ত প্রতি ১০ জন রোগীর মধ্যে চারজন আসছে রাজশাহী, রংপুর ও নওগাঁ জেলা থেকে।
নতুন এই রোগের বিষয়ে সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, “এটার (জেই) সংক্রমণে মৃত্যুর হার ৩০ শতাংশ।”
“আর যারা এরপরও বেঁচে থাকে তাদের অত্যন্ত ৫০ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের স্নায়ুবিক জটিলতায় আক্রান্ত হয়।”
আর আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি মানুষের বয়স ১৫ বছরের কম বলে জানান তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এটাই একমাত্র মশাবাহিত রোগ যা প্রতিরোধের টিকা আবিষ্কৃত হয়েছে। ডেঙ্গুর মতো এধরনের রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই।
তিনি বলেন, “হতে পারে সেখানে জলাশয় ও পাখির সংখ্যা বেশি।”
জেই আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে উপসর্গ হিসেবে মাথাব্যথা, জ্বর ও ঝাঁকুনি দেখা যায়।
কিন্তু ব্যাকটেরিয়াজনিত এনকেফালাইটিস ও নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যেও একই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়ায় চিকিৎসকরা প্রায়ই সংশয়ের মধ্যে পড়েন। শুধুমাত্র ল্যাবরেটরির পরীক্ষাতেই তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
আইইসিডিআরের পরিচালক বলেন, “কিন্তু এটা (নির্ণয়) কোনো ব্যাপার নয়। কারণ এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রতিষেধক নেই। এখানে প্রতিরোধই মূল।”
বাংলাদেশে ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো ধরা পড়ে জাপানিজ এনকেফালাইটিজ। গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ২৯৪ জন এতে আক্রান্ত হয়েছেন, যা মোট এনকেফালাইটিজ আক্রান্ত রোগীদের প্রায় ৭ শতাংশ।
মশাবাহিত রোগ বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ তৈরি করায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবছর থেকে বিষয়টি নিয়ে দিবস পালনের উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম যেখানে মশাবাহিত ছয়টি রোগই দেখা যায়। এগুলো হলো- ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়াসিস, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ও জাপানিজ এনকেফালাইটিজ।