মাতৃগর্ভে শিশুর দেহগঠনের সময়টিতে মস্তিষ্কের অংশের উন্নয়নে হেরফের ঘটলে তা অটিজম স্পেক্ট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) এর কারণ হতে পারে।
‘দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন’ সাময়িকী গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বলে জানায় বিবিসি।
মানব মস্তিষ্ক নিয়ে অধিকতর গবেষণা করে অটিস্টিক শিশুদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আশার সঞ্জার হয়েছে এ্ গবেষণায়।
নতুন এ গবেষণার ফলে জন্মের আগেই শিশুর মননে অটিজমের প্রভাব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে বলে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মত দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা দুই থেকে ১৫ বছর বয়সী ২২ জন অটিস্টিক ও স্বাভাবিক মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তারা ‘জেনেটিক মার্কার’ ব্যবহার করে মস্তিষ্কের বহিরাংশের স্তুরগুলো কীভাবে বসে এবং পরিপূর্ণতা লাভ করে তা লক্ষ্য করেছেন।
এক্ষেত্রে ৯০ শতাংশ অটিস্টিক শিশুর মস্তিষ্কের গঠনে জটিলতা পাওয়া গেছে যেখানে সুস্থ্য শিশদের ক্ষেত্রে মাত্র ১০ শতাংশের মধ্যে ওই সমস্যা দেখা গেছে।
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ম্যানটাল হেলথ’ এর ড. থমাস ইনসেল বলেন, জন্মের আগেই অটিস্টিক শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু একটা ঝামেলা হয় বলে আমরা ধরে নিতে পারি।
যতদ্রুত সম্ভব শিশুদের অটিজম চিহ্নত করা এবং তা প্রতিরোধের চেষ্টা করা জরুরি।