কিছুদিন আগেও এ ধারণা ছিল যে, মানুষের নাক মাত্র ১০ হাজাররকম গন্ধ আলাদা করে চিনতে পারে।
কিস্তু সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, নাক দিয়ে যে শুধু ট্রিলিয়ন রকম ঘ্রান নেয়া যায় তাই নয় বরং কর্মক্ষমতার দিক থেকেও চোখ ও কানের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় মানুষের নাক।
নিউ ইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, আমরা আমাদের ঘ্রাণশক্তির খুব সামান্যই কাজে লাগাই।
মানুষের চোখ তিনটি আলোক সংগ্রাহকের (লাইট রিসেপ্টর) মাধ্যমে কাজ করে। এ তিনটি রিসেপ্টর একসাথে ১ কোটি রঙ দেখতে পায়। অন্যদিকে, মানুষের কান প্রায় ৫ লাখ ভিন্ন ধরণের টোন বা শব্দ অনুধাবন করতে পারে।
এক্ষেত্রে নাক ৪শ’টি ওলফ্যাক্টরি রিসেপ্টর বা ঘ্রাণ নির্ণয়ক দিয়ে মাত্র ১০ হাজার ভিন্ন ধরনের গন্ধ অনুভব করতে পারে বলেই এতদিন ধারণা করা হত। এ ধারণাটিই যাচাই করে দেখার চেষ্টা নেন রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।
গবেষকরা ঘাস থেকে শুরু করে সাইট্রাসসহ ১২৮ ধরনের ভিন্ন ঘ্রাণের অণু মিশিয়ে একটি ককটেল তৈরি করেন। মানুষ এ ককটেল থেকে ঘ্রাণগুলোকে আলাদা করে অনুভব করতে কতটুকু সক্ষম হয় তা দেখাই ছিল এর উদ্দেশ্য।
ঘ্রাণ অণুগুলো ১০, ২০, ৩০ টি করে তিনটি পৃথক গ্রুপে ভাগ করে ২৬ জনকে বলা হয় গন্ধ আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে। এ ধরনের আরো ককটেল দেয়া গেলে গড়ে একজন মানুষ কতগুলো গন্ধ আলাদা করে চিনতে পারে তা দেখার চেষ্টা করেন গবেষকরা।
এতে দেখা যায় গড়ে মানুষ নাক দিয়ে অন্তত ১ ট্রিলিয়ন ভিন্ন ধরনের গন্ধ অনুভব করতে পারে। চোখ এবং কান দিয়ে আমরা যতটুকু দেখতে এবং শুনতে পাই তার তুলনায় আমাদের নাকের ঘ্রাণশক্তি আরো প্রখর।