মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে হিমোফেলিয়া অ্যান্ড হেলথ কেয়ার ট্রাস্ট আয়োজিত ‘হিমোফেলিয়া রোগী ও তার মানবাধিকার- প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শিরোনামের এক আলোচনা সভায় তিনি এই আশ্বাস দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “হিমোফেলিয়া রোগীর সাহায্যার্থে পরিচয়পত্র প্রদান, বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা, প্রতিবন্ধী কোটায় অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং বিশেষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা চালুর বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করতে উদ্যোগ নেয়া হবে।”
হিমোফেলিয়া অ্যান্ড হেলথ কেয়ার ট্রাস্টের ট্রাস্টি ডাক্তার এম এইচ লেলিন আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, “অনিরাময়যোগ্য এই রোগটি সম্পর্কে দেশের মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে। তাই হিমোফেলিয়া রোগীদের গণমাধ্যমের সাহায্য নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চলাতে হবে। এই প্রচারণা চালানোর জন্য হিমোফেলিয়া হেলথ কেয়ার ট্রাস্ট এবং হিমোফেলিয়া কল্যাণ ট্রাস্টকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে।”
হিমোফেলিয়া রোগটি অনিরাময়যোগ্য হলেও উপযুক্ত স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে একজন রোগীকে সুস্থ ও কর্মক্ষম মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার সুযোগ দেয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন বলেন, “হিমোফেলিয়া একটি ভয়াবহ রোগ। এই রোগ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। কেননা অনিরাময়যোগ্য রোগ হওয়ায় এটির প্রকোপ কমিয়ে আনার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত সচেতনতা।”
তিনি বলেন, “সরকার একা সব কাজ করতে পারে না। বেসরকারি উদ্যোগে দেশে প্রচুর কাজ হয়ে থাকে। তাই আমার মনে হয় সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি সাহায্য আসলে এই রোগ মোকাবেলা করা এবং সচেতনতা তৈরি করা সহজ হবে।”
আলোচনা সভায় হিমোফেলিয়া অ্যান্ড হেলথ কেয়ার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন, ট্রাস্টি মোহাম্মদ আবু তাহের, ট্রাস্টি এবং খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্মল রোজারিও, অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম, হিমোফেলিয়া কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল মজিদ ফকির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।