শিশুর পেটের যমজ ভ্রূণের সফল অস্ত্রোপচার বিএসএমএমইউতে

তিন ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে ছয় মাসের শিশুর পেটের ভেতরে থাকা যমজ ভ্রূণ বের করে এনেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের একটি দল।

বৃহস্পতিবার ওই সফল অস্ত্রোপচারের পর ছেলে শিশু সোয়েব ঝুঁকিমুক্ত আছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিকুল হকের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি চিকিৎসক টিম সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ অস্ত্রোপচারে অংশ নেয়।

চিকিৎসক দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ডা. একেএম জাহিদ হোসেন, ডা. এএম শাহিনুর, ডা. শামসুজ্জামান, ডা. মাহবুব, ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ, ডা. মনজুরুল হক লঙ্কর, ডা. তানজিদ ও ডা. মোমেন।

চিকিৎসকরা জানান, সামান্য কিছু ক্ষেত্রে মায়ের গর্ভকালীন অবস্থায় একাধিক সন্তান থাকলে, একটি সন্তানের পেটের ভেতর অন্য সন্তানের ভ্রূণ ঢুকে পড়তে পারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ ধরনের অবস্থাকে ‘ফিটাস ইন ফিটু’ বলে।

শিশু সোয়েব মাতৃগর্ভে অবস্থানকালে তার পেটের ভেতর যমজ ভাইদের ভ্রূণ ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে সেগুলো আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে।

চিকিৎসকরা বলছেন, পৃথিবীব্যাপী  অস্ত্রোপচার করে শিশুর পেট থেকে একটি মাত্র ভ্রূণ বের করার উদাহরণ শতাধিক থাকলেও একাধিক ভ্রণ বা সন্তানের অস্তিত্ব এবং এরকম অস্ত্রোপচারের ঘটনা রয়েছে মাত্র চারটি।

গত ২৫ জানুয়ারি সোয়েবকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অস্ত্রোপচারের পর সোয়েবের মা লুৎফুন্নাহার বলেন, “গর্ভবতী থাকার সময়ে আল্ট্রাসনোগ্রামের পর এ বিষয়টি জানতে পারি। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভীষণ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলাম। সোয়েবের সফল অপারেশন হওয়ায় আমি দারুণভাবে খুশি।”