পুষ্টি সচেতনতা বাড়াতে নতুন উদ্যোগ

পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর পুষ্টি পরিস্থিতি মূল্যায়ন এবং করণীয় সম্পর্কে  সচেতনতা বাড়াতে একটি কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Feb 2014, 07:24 PM
Updated : 8 Feb 2014, 07:37 PM

এর আওতায় শিগগিরই রাজধানী ঢাকার সাড়ে ছয়শ’ ফার্মেসি এবং সাড়ে তিনশ’ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওজন ও উচ্চতা মাপার যন্ত্র দেয়া হচ্ছে। বয়স অনুযায়ী শিশুর শারীরিক বৃদ্ধি ঠিকমতো হচ্ছে কি না তা বোঝার জন্য গ্রোথ চার্টও থাকছে।

জাতীয় পুষ্টি সেবার(এনএনএস) ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাসরিন খান শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,  গ্রোথ চার্টের সঙ্গে শিশুর উচ্চতা ও ওজন তুলনা করে অভিভাবকরা  সন্তানের শারীরিক বিকাশ সম্পর্কে খুব সহজেই ধারণা পাবেন এবং সে অনুযায়ী  ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

অপুষ্টিজনিত কারণে বাংলাদেশের শিশুদের বয়স অনুপাতে বাড়তি  ওজন ও উচ্চত কম হওয়ায়  অভিভাবকদের সচেতন করতে এই কার্যক্রম নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশের  সর্বশেষ  জনমিতি ও স্বাস্থ্য সমীক্ষায় (বিডিএইচএস) দেখা গেছে, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ৪১ শতাংশের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কম এবং ৩৬ শতাংশের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।

আন্তর্জাতিক উদরাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, ঢাকার পাঁচ থেকে ১৮ বছর বয়সী প্রতি ১০ শিশুর মধ্যে একজনের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।

ইউনিসেফের পুষ্টিবিদ  ড. মহসিন আলী বলেন, “অনেক অভিভাবক ছেলে-মেয়েকে স্বাস্থ্যবান মনে করায় বাড়তি ওজনের শিশুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে তারা বুঝতে পারেন না ।”

তাই সরকারের এই প্রচারণা শিশুদের পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজে দেবে বলে মনে করেন তিনি।

মহসিন আলী বলেন, বয়স অনুযায়ী শিশুর উচ্চতা ও ওজন কী হওয়া উচিত সে তালিকার সঙ্গে ছেলে-মেয়ের উচ্চতা ও ওজন মেলালে অভিভাবকরা এ বিষয়ে  সচেতন হবেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।