শিশুখাদ্যে ক্ষতি হলে সরবরাহকারীর শাস্তির সুপারিশ

বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত ‘বিকল্প শিশুখাদ্য’ গ্রহণে কোনো শিশুর মৃত্যু বা স্বাস্থ্যহানী ঘটলে প্রচলিত আইনে সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানের শাস্তির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2013, 11:12 AM
Updated : 20 August 2013, 11:15 AM

সংসদে তোলা ‘মাতৃদুগ্ধ বিকল্প শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুতকৃত শিশুর বাড়তি খাদ্য ও তা ব্যবহারের সরঞ্জামাদি (বিপণন নিয়ন্ত্রণ, ইত্যাদি)’ বিলে এ বিষয়ে শাস্তির বিধান যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিল নিয়ে আলোচনায় এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকল্প শিশুখাদ্যের কারণে কোনো শিশুর ক্ষতি হলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কোনো বিধান ছিল না। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত বিকল্প শিশুখাদ্য গ্রহণে যদি কোনো শিশুর ক্ষতি হয় তাহলে কে দায়ী থাকবে সেটাও স্পষ্ট ছিলো না।

“এ কারণে কমিটির প্রচলিত দণ্ডবিধি অনুযায়ী জরিমানা, ক্ষতিপূরণ আদায়সহ অন্যান্য শাস্তির বিধান বিলে যোগ করতে বলেছে।”

বিকল্প শিশুখাদ্যের প্রচারে কড়াকড়ি আরোপ করে গত ১৬ জুলাই জাতীয় সংসদে এই বিল উত্থাপন করা হয়। পরে সেটি পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিকল্প শিশুখাদ্য ও শিশুর বাড়তি খাদ্যকে ‘মায়ের দুধের বিকল্প’ দেখিয়ে প্রচার চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।

এছাড়া বিকল্প শিশুখাদ্য, বাণিজ্যিকভাবে প্রস্তুত করা শিশুর বাড়তি খাদ্য এবং এসব খাদ্য ব্যবহারের সরঞ্জাম নিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিকল্প শিশুখাদ্যের বিক্রি উৎসাহিত করতে কাউকে উপহার বা মূল্যছাড় দেয়া; সভা-সেমিনারের আয়োজন, শিশুদের জন্য প্রতিযোগিতা বা অনুষ্ঠানের আয়োজনও নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।

শিশুখাদ্যের মোড়কে শিশু বা মায়ের ছবি ব্যবহারও নিষিদ্ধি করা হয়েছে প্রস্তাবিত আইনে।

এ আইন লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমেও এসব অপরাধের বিচার করা যাবে।

শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, প্রতিমন্ত্রী মজিবুর রহামান ফকির, মোহাম্মদ আমানউল্লাহ, জেড আই এম মোস্তফা আলী এবং আমানুর রহমান খান রানা বৈঠকে অংশ নেন।