অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে বলে বিবিসি কে জানিয়েছেন ডেন্টাল সার্জন ডা. মিত রামাত্রি।
তিনি জানান, দুই ধাপে শিশুটির দাঁত অপসারণ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে অপসারণ করা হয় চারটি দাঁত এবং দ্বিতীয় ধাপে তিনটি।
নবজাতকটি জন্মের কয়েকদিন পরেই তার মুখের দাঁত দেখতে পান বাবা-মা।
দুধপান করাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ায় তাকে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যান তারা। ডাক্তার ওই নবজাতকের মুখে সাদা টিস্যু দেখতে পেয়ে ডা. রামাত্রির কাছে তাকে স্থানান্তর করেন।
এ বিষয়ে বিবিসি হিন্দিকে ডাক্তার রামাত্রি বলেন, “আমি তাকে পরীক্ষা করার সময় মুখে সাতটি দাঁত দেখতে পাই। অনেক সময় নবজাতকের মুখে দাঁত ওঠার চিহ্ন দেখা গেলেও পরে সেগুলো আর বাড়ে না। কিন্তু এ শিশুটির বেলায় ব্যাপারটি ছিল অন্যরকম। তার দাঁতগুলো সম্পূর্ণ বেরিয়ে এসেছিল।”
তবে রামাত্রি বলেন, “এ ধরনের সমস্যা এর আগে তিনি না দেখলেও এমনটি ঘটা একেবারে অসম্ভব নয়। স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়ায় এরকম দাঁত উঠা স্বাভাবিক। এ শিশুটির ক্ষেত্রে তা জন্মের পরপরই ঘটেছে।”
দাঁতগুলো তুলে ফেলা না হলে পরে সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা ছিল বলে জানান রামাত্রি।অস্ত্রোপচারের পর থেকে শিশুটি ঠিকভাবে দুধপান করতে পারছে বলে জানান তিনি।
তবে এই অস্ত্রোপচারের ফলে ভবিষ্যতে শিশুটির দাঁত উঠতে কোনও সমস্যা হবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি রামাত্রি।