প্রতি বিভাগে ক্যান্সার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি

ক্যান্সার নির্ণয় ও এর চিকিৎসা সেবা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে দেশের প্রতিটি বিভাগে ক্যান্সার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2017, 07:28 PM
Updated : 20 July 2017, 07:28 PM

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ক্যান্সার প্রতিরোধে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ক্যান্সার প্রতিরোধ ও গবেষণা কেন্দ্রের’ উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ দাবি জানান।

গোলটেবিল বৈঠকে জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার ইপিডেমিওলোজি বিভাগের প্রধান ও ক্যান্সার প্রতিরোধ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান সমন্বয়কারী মো. হাবিবুলালাহ তালুকদার রাসকিন বলেন, “প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যার বিভিন্ন স্তরে যেমন-কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ক্যান্সার সেবা চালু করার মাধ্যমে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

“প্রস্তাবিত আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্রগুলোতে ক্যান্সার প্রতিরোধ, প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রশমণ সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করে প্রান্তিক পর্যায়ে ক্যান্সার সেবা সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। ক্যান্সারজনিত মৃত্যু হ্রাস ও সুস্থ হয়ে যাওয়া ক্যান্সার রোগীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে এটি দেশের অর্থনীতিতে অনুকূল প্রভাব ফেলবে।”

তিনি বলেন, “এই কেন্দ্রগুলো চালু হলে ক্যান্সার নির্ণয় ও চিকিৎসা সুবিধা দেশের সকল জনগোষ্ঠীর নাগালের মধ্যে আসবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মধ্যে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রতি আগ্রহ বাড়বে। অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে।”

বৈঠকে বারডেম হাসপাতালের ল্যাবরেটরি সার্ভিসেস বিভাগের পরিচালক শুভাগত চৌধুরী বলেন, “ক্যান্সার নিরাময়ের ক্ষেত্রে এখন অনেক অগ্রগতি হয়েছে, এমনকি টিকার মাধ্যমেও ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব। কিন্তু যতই অগ্রগতি হোক, তা যদি দরিদ্র মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পারে তাহলে সে আবিষ্কার বা সেই বিজ্ঞানের কোনো অর্থ নেই। যে বিজ্ঞানের সারটা শুধু ধনীরাই ব্যবহার করতে পারবে, সে আবিষ্কারটা যথাযথ আবিষ্কার না। সেটাকে সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করতে হবে।”

রোটারী ক্লাবের সদস্য এস এম আলমগীর বলেন, “ক্যান্সার যদি প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা যায়, তাহলে অনেকাংশে এর নিরাময় সম্ভব। আর সেক্ষেত্রে আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্রগুলো কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।”

‘আঞ্চলিক ক্যান্সার কেন্দ্র: ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে একটি লাভজনক বিনিয়োগ’ শীর্ষক বৈঠকে ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা উপস্থিত ছিলেন।