শনিবার রাজধানীতে এক কনফারেন্সে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খান বলেন, “আমরা অনেক জিনগত ত্রুটিজনিত রোগ দেখতে পাই, যেগুলো রক্তের সম্পর্কীয়দের মধ্যে বিয়ে ঠেকাতে পারলে প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
এ প্রসঙ্গে সাইপ্রাসের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, পাত্র-পাত্রীকে এ বিষয়ে সচেতন করে থ্যালাসেমিয়া অনেক কমিয়ে আনতে পেরেছে দেশটি।
থ্যালাসেমিয়া রক্তের জিনগত ত্রুটিজনিত একটি রক্ত রোগ, যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তে হিমোগ্লোবিন উৎপাদন ব্যাহত হয়ে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।
“রক্ত পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে তাদের বিয়ের ফলে সন্তানের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে সে বিষয়ে চার্চের মধ্যে তাদের অবহিত করা হয়।”
“এর পরেও যারা সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন তাদের গর্ভকালীন সময়ে একটি পরীক্ষা করানোর জন্য বিশেষভাবে বলা হয়। গর্ভের শিশুর কোনো জিনগত ত্রুটি আছে কি না তা আপনি জানতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী গর্ভপাতের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন “
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নঈম চৌধুরী সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, আইসিডিডিআর,বির নির্বাহী পরিচালক ডা. জন ক্লেমেন্স, এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ডা. ফিরদৌসী কাদরি বক্তব্য দেন।
“বাংলাদেশে এসব রোগ সম্পর্কে বলার মতো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে এখানে রক্তের সম্পর্কীয়দের মধ্যে বিয়ে অনেক বেশি হয়।”
বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে বলে ইঙ্গিত দেন কয়েকজন বিজ্ঞানী।
এর কারণ হিসেবে আগের বেশি সংখ্যক শিশুর পাঁচ বছরের বেশি বেঁচে থাকার কথা বলেন তিনি।