বাংলাদেশে বিষণ্নতায় ভুগছে ‘৭৩ লাখের বেশি’ মানুষ

বাংলাদেশে প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সাড়ে চার শতাংশের বেশি মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে বলে এক গবেষণা জরিপের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2017, 11:19 AM
Updated : 5 April 2017, 11:19 AM

৭ এপ্রিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ সামনে রেখে বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মন্ত্রী।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে প্রতি বছর ৭ এপ্রিল সারা বিশ্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালিত হয়। এ বছর দিবসটির নির্বাচিত বিষয় করা হয়েছে ‘ডিপ্রেশন: লেটস টক’, বাংলায় যার ভাবার্থ ‘আসুন বিষন্নতা নিয়ে কথা বলি’।

বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন হবে জানিয়ে নাসিম বলেন, এ বছর জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায়। জেলা ও উপজেলায়ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হবে।

বিষণ্নতাকে বৈশ্বিক সমস্যা আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে প্রায় ৩০ কোটি মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে। দেশে ভেদে শতকরা ৩ থেকে ১৭ জন মানুষ বিষণ্নতায় আক্রান্ত।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রাপ্ত বয়স্ক জনগোষ্ঠীর শতকরা ৪ দশমিক ৬ ভাগ বিষণ্নতায় আক্রান্ত।

সে হিসেবে দেশের প্রায় ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে ৭৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ বিষণ্নতায় ভুগছে বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নাসিম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম (ফাইল ছবি)

তিনি বলেন, “বিষণ্নতা যে কোনো বয়সে, এমনকি শিশুদের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সে বিষণ্নতার লক্ষণ প্রথমবারের মতো দেখা যায়।

“এছাড়া ১৫ থেকে ১৮ বছর ও ৬০ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে এর ঝুঁকি কিছুটা বেশি।”

এ রোগের কারণ হিসেবে দীর্ঘ মেয়াদী রোগ, দারিদ্র্য, বেকারত্ব, একাকিত্ব, পারিবারিক ও সম্পর্কের সমস্যা, গর্ভকালীন ও প্রসব পরবর্তী সময় ইত্যাদিকে তুলে ধরেন মন্ত্রী।

বিষন্নতার বিজ্ঞান ভিত্তিক চিকিৎসা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ধৈর্য সহকারে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যক্তি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে।

এক্ষেত্রে ওষুধ ও সাইকোথেরাপি দুই-ই প্রয়োজন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।