হৃদরোগের ‘বিকল্প’ চিকিৎসা: বাংলাদেশেও আগ্রহী দুই ভারতীয় চিকিৎসক

হৃদরোগের চিকিৎসায় বাইপাস ও এনজিওপ্লাস্টি-তে কাটাছেড়া ছাড়াই ‘বিকল্প’ চিকিৎসা বাংলাদেশেও করার আগ্রহ দেখিয়েছেন দুই ভারতীয় চিকিৎসক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2017, 12:39 PM
Updated : 22 March 2017, 02:35 PM

বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘মিট দ্য প্রেসে’ ওই চিকিৎসার কথা জানান ভারতের অক্সমেড হসপিটালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. আইয়াজ আকবর ও জেনারেল মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. মুথাইয়া রাম খান।

আইয়াজ আকবার বলেন, বাইপাস ও এনজিওপ্লাস্টিতে কাটাছেড়া ছাড়াই চিকিৎসা উদ্ভাবন করেছেন তারা। যে চিকিৎসা আগের দুই ব্যবস্থার তুলনায় ‘উৎকৃষ্ট ও খরচ সাশ্রয়ী’।

“বাংলাদেশ থেকে অনেক রোগী চেন্নাইয়ে আমাদের হাসপাতালে যায়। বাংলাদেশেও এ চিকিৎসা চালুর জন্য আমরা আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি।”

হাসপাতাল ও সরঞ্জামাদির ব্যবস্থা করার জন্য তিন বছর সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আইয়াজ আকবর জানান, তাদের হাসপাতালে প্রতিবছর গড়ে ১ হাজার জন্য বিকল্প এ ব্যবস্থায় চিকিৎসা নেন। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিমাসে ২-৩জন রোগী যান।

নিজেদের উদ্ভাবনের বিষয়ে তিনি বলেন, “অনেক সময় চিকিৎসার জন্য আর্টারিতে (ধমনী) ক্যাথেড্রাল ঢোকানোর প্রয়োজন হয়, কিন্তু সেটা এত চিকন যে ক্যাথেড্রাল ঢোকানো কঠিন। আমরা সেটার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছি।

“প্রচলিত অক্সিজেনে রোগীর চিকিৎসা কিছু কিছু ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। এ কারণে আমরা আমাদের হাসপাতালে হাইপারবেরিক অক্সিজেন থেরাপির ব্যবস্থা করেছি।”

হৃদরোগের চিকিৎসার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, অগ্নিদগ্ধ হওয়া, স্পন্ডাইলোসিস প্রভৃতিকেও বিকল্প চিকিৎসার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে বলে জানান ডা. আইয়াজ।

তিনি বলেন, “অনেক সময় ডায়াবেটিক রোগীকে আপনি অ্যাসেনথেসিয়া দিতে পারবেন না। তখন কী করবেন? আমরা এমন ব্যবস্থা করেছি, ডায়াবেটিস রোগী ইনফেক্টেড হলেও প্রচলিত ব্যবস্থার বাইরেও চিকিৎসা সম্ভব এবং চিকিৎসা হচ্ছে।”

ডা. আইয়াজ জানান, চেন্নাইয়ের অক্সমেড হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেডে হৃদরোগ চিকিৎসার সঙ্গে বিকল্প মেডিসিন ব্যবস্থাকে যুক্ত করায় চিকিৎসা আরও সহজতর হয়েছে।

ডা. মুথাইয়া রাম খান বলেন, ডায়াবেটিসের ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ আক্রান্ত হয়। গ্যাংগ্রিন হলে শরীরের কোনো অংশ কেটে ফেলতে হয়।

“কিন্তু আমাদের এই বিকল্প চিকিৎসায় কাটাছেড়ার কোনো ব্যাপার নেই। চিকিৎসাও হবে, মানুষটাও ঠিক থাকবে।”

তিনি জানান, এ ধরনের বিকল্প চিকিৎসা প্রাথমিক পর্যাযে ভারতীয় সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচলন করা হয়েছিল, যাতে তাদেরকে কাজে সক্ষম রাখা যায়। পরবর্তীতে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সাধারণ মানুষকেও চিকিৎসার আওতায় আনার ব্যবস্থা হয়।

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সেন্টার (আইবিসি) ওই মিট দ্য প্রেসের আয়োজন করে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ ইদ্রীসী এ সময় বক্তব্য দেন।