বৃহস্পতিবার সকালে ‘টিস্যু ব্যাংকিং অ্যাক্টিভিটিস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এই সেমিনারের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন।
সেমিনারের বক্তব্যে ইয়াফেস ওসমান বলেন, “টিস্যু ব্যাংকিং প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলব। কম খরচে আরও বেশি প্রডাক্ট কী করে আমরা পাব, সে বিষয়ে চিন্তা করতে হবে।
“অর্গান ও টিস্যু প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে আরও আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগিতা নিতে হবে আমাদের।”
এর আগে বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি রেগুলেটরি অথরিটির চেয়ারম্যান নঈম চৌধুরী টিস্যু ব্যাংকিং খাতকে আরও বেশি আধুনিক করতে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হক বলেন, “টিস্যু ব্যাংকিংয়ে আরও বেশি জনবল আর আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা প্রয়োজন। প্রতিদিন কত শত প্লাসেন্টাম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
“বোন, টেন্ডন কালেক্ট করতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছে মেডিকেল কলেজগুলো। এগুলো কালেক্ট করতে দরকার আরও আধুনিক প্রযুক্তি।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে ইনস্টিটিউট অব টিস্যু ব্যাংকিং অ্যান্ড বায়োমেটারিয়াল রিসার্চের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান টিস্যু ব্যাংকিং প্রযুক্তির নানা দিক তুলে ধরেন।
আগুনে পোড়া, দুর্ঘটনায় আহত মানুষদের দেহ থেকে বাদ দেওয়া টিস্যুগুলো তারা কিভাবে সংরক্ষণ করেন তার একটি ডকুমেন্টেশন উপস্থাপন করেন তিনি।
আগুনে পোড়া, ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীদের অপারেশনে আধুনিকতম প্রযুক্তির ব্যবহারের দিকগুলো তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খায়রুল নবী খান।
পরে তার সঙ্গে যোগ দেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান আহমেদ সিরাজ।