লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটি (এলএসইউ) অধ্যাপক মেলিন্ডা সথের্ন বলেন, “সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গবেষণায় চিনিযুক্ত পানীয়র সঙ্গে প্যানক্রিয়াটিক ও এনডমেট্রিয়াল ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার হওয়ার এমনকি ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের পুনরায় ক্যান্সার হওয়া এবং মৃত্যুঝুঁকি বাড়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
প্রধান গবেষক এলএসইউ-র অধ্যাপক তুং-সুং সেং তার সহযোগীদের নিয়ে ২০০৩ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের এনএইচএএনইএস এর সংগ্রহ করা ২২ হাজারের বেশি প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির তথ্য পরীক্ষা করেন।
এনএইচএএনইএস-র কর্মীরা ওই ২২ হাজার ব্যক্তির চিনিযুক্ত ফলের রস, সোডা, ফলের সৌরভ সমৃদ্ধ পানীয়, এনার্জি ড্রিংক, চিনিযুক্ত চা ও কফি এবং অন্যান্য চিনিযুক্ত পানীয় পানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে।
সেখানে দেখা যায়, প্রায় ১৬ শতাংশ মানুষ চিনিযুক্ত পানীয় পানের মাধ্যমে দৈনিক উচ্চমাত্রায় চিনি গ্রহণ করে। গবেষকদের মতে, ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া অনেক মানুষের ক্ষেত্রেই উচ্চমাত্রায় চিনি সেবন ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়।
‘দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’ সপ্তাহে ৪৫০ কিলোক্যালোরির বেশি মিষ্টি পানীয় পান না করা বা ১২ আউন্সের তিনটিরও কম ক্যান মিষ্টি পানীয় পানের পরামর্শ দিয়েছে।