এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতীয় এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিষন্নতায় ভোগা ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা তিনগুণ বেশি।
ভারতীয় সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে আত্মহত্যার মোট ঘটনার মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তা আবেগতাড়িত। বাকি ঘটনাগুলোর ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে মানসিক চিকিৎসা দিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব ছিল।
বিশ্ব জুড়ে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণগুলোর একটি হচ্ছে আত্মহত্যা। আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ২০০৩ সাল থেকে ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে—অর্থাৎ প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে।
ভারতীয় সাইকিয়াট্রিক সোসাইটির প্রেসিডেন্ট ডা. জি প্রসাদ রাও বলেন, “ভারতে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি, গড়ে তা প্রায় আড়াই থেকে তিন গুণ বেশি। মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আবেগতাড়িত হয়ে হঠাৎ করেই ব্যক্তি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।”
“বাকি ক্ষেত্রে, আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়া ব্যক্তি নানা ভাবে এর ইঙ্গিত দিতে থাকে। অনেকটা ‘আমার বেঁচে থাকা মূল্যহীন’, বেশিরভাগই এ ধরনের মন্তব্য করে থাকে। যদি তার চারপাশে থাকা মানুষগুলো যথাসময়ে বিষয়টি ধরতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে এ ধরনের আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।”