ব্যাংককে ২১ জন জিকা আক্রান্ত

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নতুন করে ২১ জন জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও আছেন।

>>আইএএনএস/বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2016, 03:13 PM
Updated : 11 Sept 2016, 03:13 PM

আক্রান্তরা সবাই স্থানীয়ভাবে ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে বলে রোববার জানিয়েছে দেশটির গণস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

জিকা আক্রান্ত গর্ভবতী ওই নারী পরে একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র টেলিফোনে রয়টার্সকে বলেন, “ব্যাংককের দক্ষিণের জেলা সাথর্নে ২১ জনের জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নিশ্চিত খবর আমরা পেয়েছি। যাদের মধ্যে একজন গর্ভবতী নারীও রয়েছেন, যিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং সফলভাবে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।”

“মা ও সদ্যজাত শিশু নিরাপদ।”গর্ভবতী ওই নারীর স্বামী কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন।

২০১২ সালে থাইল্যান্ডে প্রথমবার জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়। তারপর থেকে ব্যাংক পৌর কর্তৃপক্ষ নিয়মিত ভাবে এই ভাইরাসের পরীক্ষা করে।

এর আগে বুধবার মালয়েশিয়ায় গর্ভবতী এক নারীর জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ পায়। ২৭ বছর বয়সী ওই নারী সিঙ্গাপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় বাস করেন।

২৭ অগাস্ট সিঙ্গাপুরে স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত প্রথম জিকা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এখন পর্যন্ত সেখানে তিন শতাধিক মানুষের জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

১৯৪৭ সালে উগান্ডায় প্রথম জিকা ভাইরাস ধরা পড়ে। এতে সচরাচর মৃত্যুর ঘটনা দেখা যায় না। এ রোগের লক্ষণও সবসময় স্পষ্ট থাকে না।

তবে কোনও গর্ভবতী নারী জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার গর্ভের শিশু ‘ছোট মাথা’ নিয়ে জন্মাতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় শিশুদের এই অবস্থাকে মাইক্রোসেফালি বলে।

থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশজুড়ে এখন পর্যন্ত ৩০ জন গর্ভবতী নারীর জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ছয়জন কোনও ধরনের জটিলতা ছাড়াই সন্তান জন্ম দিয়েছেন এবং শিশুরাও সুস্থ আছে।

এ কারণে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে এখনই জিকা নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।