দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্যাবরিয়েল উইকস্ট্রর্মের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী উইকস্ট্রর্ম বলেন, শুধু যৌনতা বিষয়ক সমস্যার প্রেক্ষাপটেই নয়… যৌন সুখানুভূতির দিকগুলোও বিবেচনায় নিয়ে যৌন স্বাস্থ্য নীতিমালা করা উচিত।
দৈনিক ডাহেন্স নেইহেতার এ সুইডিস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লেখা একটি নিবন্ধ থেকে বিবিসি জানায়, সুইডিসরা আগের চেয়ে কম যৌনতায় মিলিত হচ্ছে বলে দেশটির কয়েকটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার জরিপে বের হয়ে এসেছে।
এই জরিপের ফল সত্য কিনা বা সত্য হলে কেন এমন হচ্ছে- অনুসন্ধান কার্যক্রম শেষে সেটি বের হয়ে আসবে ধারণা কথা জানিয়ে উইকস্ট্রর্ম লেখেন, (মানসিক) চাপ একটা সমস্যা হতে পারে।
সুইডেনের নাগরিকদের যৌনজীবন নিয়ে তথ্যানুসন্ধানের এই কাজ করবে দেশটির জনস্বাস্থ্য সংস্থা। আর ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় বিবিসি।
উইকস্ট্রর্ম বলেন, “বিজ্ঞাপন ও সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপকভাবে যৌনতার বিষয়টি রয়েছে মনে হলেও এখনও লজ্জার কারণে এই বিষয়ের আলোচনায় একটা আবরণ রয়ে গেছে। বিষয়টি রাজনৈতিক বিতর্কেও অনুপস্থিত।”
সুখময় যৌন অভিজ্ঞতার বাইরে যৌনঘটিত রোগ, অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণ ও ধর্ষণের মতো বিষয়গুলোতে নজর দিয়ে তিনি বলেন, এগুলো স্বাস্থ্য নীতিমালাকে জটিল করে তোলার ঝুঁকিতে ফেলছে।
বাবা-মা, শিক্ষক এবং সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা থেকে শুরু করে বেশিরভাগ মানুষ যৌনতা বিষয়ে কথা বলতে বিব্রত বোধ করলে এ ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করা কঠিন হবে বলে মনে করেন সুইডিস স্বাস্থ্যমন্ত্রী।