এ উপলক্ষে রোববার রাজধানীর মহাখালীতে আইইডিসিআর প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে সংক্রামক রোগের গবেষণায় প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করে সেসব রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ইবোলা, যক্ষ্মা, জিকা, নিপাসহ বিভিন্ন সংক্রামক রোগের গবেষণায় ইনস্টিটিউটটি অনেক ভালো গবেষণা করছে। বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও এর প্রশংসা এসেছে।
“গ্রামসহ সব এলাকার মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্য সতর্কবাণীসহ বিভিন্ন কার্যক্রম মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসময় বিশ্বে বিভিন্ন সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় আতঙ্ক তৈরি করে- এমন প্রতিবেদন প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য ডাক্তারদের ‘দূর এলাকায়’ পাঠানোর সরকারি উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন।
“আমরা উপলব্ধি করেছিলাম এমনিতে আমাদের ডাক্তার-নার্সদের সংখ্যা কম। তার মধ্যে অধিকাংশ ঢাকা কিংবা শহরকেন্দ্রীক থাকলে গ্রামের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হবে।
“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে বিসিএসের ৬ হাজার ডাক্তারকে গ্রামে পাঠিয়েছিলাম। কমপক্ষে দুই বছর তাদেরকে গ্রামে থাকতে হবে। ডাক্তারদেরকে নিজের জেলা বা উপজেলায় যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।”
এই উদ্যোগের ফল পাওয়া শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
অ্যানেস্থেসিস্টের অভাবে ঢাকার বাইরে অপারেশন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে জনিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “এজন্য ৩৪তম বিসিএসের দুইশ’ ডাক্তারকে আমরা প্রথমে ছয় মাসের অ্যানেস্থেসিয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এই প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা কমপক্ষে দুই বছরের জন্য গ্রামে যাবে।”
১০তলা ওই ভবন নির্মাণ কাজ যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও স্থাপত্য অধিদপ্তর।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সী বলেন, ১০তলার মধ্যে প্রথমে বেইজমেন্ট ও তিনটি তলার কাজ শেষ করা হবে। এরপর অন্য তলাগুলোর কাজ শুরু করা হবে।
গত ফেব্রুয়ারিতেই নির্মাণ কাজ শুরু হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “১৮ মাসের মধ্যে প্রথম ধাপের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।”
নতুন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিস কন্ট্রোলের বাংলাদেশ কার্যালয়, একটি জরুরি অপারেশন থিয়েটার ও ছয়টি রোগ পরীক্ষাগার থাকবে বলে জানান আইইডিসিআর পরিচালক মাহমুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক।