বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, সারাবিশ্ব থেকে টাইপ-২ পোলিও নির্মূলের পর বাইভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিন নামে নতুন এ ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
“নতুন এ ভ্যাকসিন আগের ট্রাইভ্যালেন্ট ওরাল পোলিও ভ্যাকসিনের বদলে দেওয়া হবে। এটি টাইপ-১ ও টাইপ-৩ পোলিও নির্মূলে কাজ করবে,” বলেন ইপিআইর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর পরিচালক হাবিব আবদুল্লা সোহেল।
‘দ্য পোলিও ইরাডিকেশন এন্ডগেইম স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ২০১৩-২০১৮’ কর্ম পরিকল্পনায় ওপিভি ব্যবহারকারী দেশগুলোকে এ বছরের এপ্রিল থেকে নতুন এই টিকা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
“বাংলাদেশে আগামী ২৩ এপ্রিল নতুন টিকার যাত্রা শুরু হবে।”
নতুন এ ভ্যাকসিনও আগের নিয়মে দুই ফোঁটা করে শিশুদের খাওয়ানো হবে বলে জানান সোহেল।
১৯৯৯ সাল থেকে পোলিও টাইপ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী না পাওয়ায় ‘গ্লোবাল সার্টিফিকেশন কমিশন’ গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর বিশ্বকে টাইপ-২ পোলিওমুক্ত ঘোষণা করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ কমিশন ২০১৯ সালের মধ্যে বিশ্বকে পোলিওমুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে। এ সময়ের পর আর পোলিও ভ্যাকসিন খাওয়ানোর ‘প্রয়োজন পড়বে না’ বলেও আশা প্রকাশ করেন সোহেল।
তবে পৃথিবী থেকে রোগটি পুরোপুরি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন ইপিআইর প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “বিশ্ব থেকে একসঙ্গে পোলিও নির্মূল করতে হবে। অধিকাংশ দেশেই এখন এ রোগটির অস্তিত্ব নেই। তবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে রোগী পাওয়া যাওয়ায় এই কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফের টিকা (ইমিউনাইজেশন) বিশেষজ্ঞ জুসি মেরিনা অধিকারী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম।