‘ডায়াবেটিস প্রতিরোধে নীতি বাস্তবায়নে কালক্ষেপণ নয়’

ডায়াবেটিসে বিশেষত প্রতিরোধযোগ্য টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তের বর্তমান হারকে ‘আশঙ্কাজনক’ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিটি দেশকে এই হুমকি প্রতিরোধে এ সংক্রান্ত নীতি বাস্তবায়নে ‘সময় নষ্ট’ না করার আহ্বান জানিয়েছেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস এর প্রেসিডেন্ট।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2016, 02:37 PM
Updated : 8 April 2016, 02:37 PM

ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস হলো যক্ষা ও ফুসফুসের রোগ প্রতিরোধে গঠিত সংস্থা ‘দ্যা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন এগেইনস্ট টিউবারকুলোসিস অ্যান্ড লাং ডিজিজ’ (দ্যা ইউনিয়ন) এর অধিভুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।

তামাক নিয়ন্ত্রণ, স্থুলতা প্রতিরোধ, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরিকল্পনা নিতে সরকারগুলোকে তথ্য সহায়তা এবং ২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বাস্তবায়ন নিয়ে কাজ করে থাকে ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে জাতিসংঘে এক অনুষ্ঠানে ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রেসিডেন্ট হোসে লুই কাস্ত্রো বলেন, “প্রতিরোধযোগ্য টাইপ-২ ডায়াবেটিস বাড়তে থাকার বিপরীতে জনগণকে সচেতন করতে সাহায্য করবে এমন নীতি বাস্তবায়নে সময় নষ্ট না করা আমাদের নৈতিক ও অর্থনৈতিক দায়িত্ব।

“আমরা যুদ্ধ (ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে) চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।”

প্রতিবছর ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হয়। ডায়াবেটিস নিরাময় করা ছিল এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল প্রতিপাদ্য।

এদিন ডায়াবেটিস প্রতিরোধে দৃঢ় পদক্ষেপ ও ভুক্তভোগীদের জন্য আরও ভাল স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় যোগ দেন।

যথাযথ তথ্য ও সুনির্ধারিত নীতি কার্যকরভাবে ডায়াবেটিস শনাক্ত ও তা কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে বলে আলোচনায় বলা হয়।

বিশ্বেজুড়ে ৪২০ মিলিয়ন ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের মধ্যে ২০০ মিলিয়নই জানে তারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

ডায়াবেটিস ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে অন্ধত্ব, পা কেটে ফেলা, কিডনি জটিলতা, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকসহ নানা ধরনের মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করতে পারে।

বিশ্বে প্রতি ছয় সেকেন্ডে ডায়াবেটিস আক্রান্ত কেউ না কেউ মারা যান এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে মানুষের মৃত্যুর কারণগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিস হবে সপ্তম।

ডায়াবেটিসের ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে টাইপ-২ ডায়াবেটিস দেখা যায়, যার মূল কারণ অতিরিক্ত ওজন ও শারীরিক পরিশ্রম না করা।

এই ধরনের ডায়াবেটিস প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা করে তা প্রতিরোধ করা যায়। সময়মত যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে এ ধরনের ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অন্ধত্ব ও নার্ভের ক্ষতিসহ অঙ্গহানি ঘটাতে পারে।

এই টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনে অভ্যস্ত হওয়ার ওপর জোর দেন ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের প্রেসিডেন্ট কাস্ত্রো।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারগুলোকে এ বিষয়ে যথাযথ তথ্য পেতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

“প্রতিটি দেশের সরকারের সেদেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সুনির্দিষ্ট হার বিষয়ে সঠিক তথ্য এবং তাদের জনগণের মধ্যে সুনির্দিষ্টভাবে কোন ঝুঁকিগুলো রয়েছে তা জানা দরকার।”