সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮০ সালে যেখানে বিশ্বে ১০ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিল সেখানে ২০১৪ সাল নাগাদ তা বেড়ে ৪২ কোটি ২০ লাখে দাঁড়িয়েছে। যা ভয়ঙ্কর সতর্ক বার্তা।
প্রতি বছর ডায়বেটিসজনিত জটিলতায় ভুগে ৩৭ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘দ্রুত কার্যকর’ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে বিশ্বে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ডব্লিউএইচও-র কর্মকর্তরা।
বর্তমান বিশ্বে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছে।
প্রতিবেদনে টাইপ-১ ও টাইপ-২ উভয় ধরনের ডায়াবেটিসের কথা বলা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও-র কর্মকর্তা ডা. এটিয়েনেন ক্রুগ বিবিসি’কে বলেন, “ডায়াবেটিস একটি নীরব রোগ, কিন্তু এটি আমাদের একটি করুণ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের একে থামাতেই হবে।”
“আমরা এটি থামাতে সক্ষম। কারণ, আমরা জানি এজন্য আমাদের কি করতে হবে। কিন্তু এ রোগকে আমরা যেভাবে অবজ্ঞা করছি তা করা উচিত না। কারণ, মানুষের স্বাস্থ্য, পরিবার ও সমাজের উপর এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।”
রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
এর ফলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তিনগুণ বেড়ে যায়। এছাড়া স্ট্রোক, কিডনি জটিলতা, অন্ধত্ব, গর্ভকালীন সমস্যা ও গ্যাংগ্রিন হতে পারে।
বিশ্বে ঘাতক ব্যাধিগুলোর মধ্যে অষ্টম অবস্থানে আছে ডায়াবেটিস।
প্রতিবছর ডায়াবেটিসে ভুগে বিশ্বে ১৫ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এছাড়া, আরো প্রায় ২২ লাখ মানুষের মুত্যৃর কারণের সঙ্গে ডায়াবেটিসের যোগ আছে।