‘সুপার স্পেশালাইজড’ হাসপাতাল হচ্ছে ঢাকায় 

জটিল রোগের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দেশে একটি ‘সুপার স্পেশালাইজড’ হাসপাতাল নির্মাণে হাত দিতে যাচ্ছে সরকার। 

জাফর আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Feb 2016, 07:43 AM
Updated : 1 Feb 2016, 09:55 AM

ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমিতে এক হাজার ৩৬৬ কোটি টাকায় গড়ে তোলা হবে এই হাসপাতাল, যেখানে থাকবে চিকিৎসাসেবার অত্যাধুনিক সব ব্যবস্থা।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) সুপার স্পেশালাইজড হসপিটাল’ নামের এ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তোলার কথা রয়েছে।

একনেক বৈঠকের জন্য তৈরি করা প্রকল্পের সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জমিতে পৃথক একটি ১৩ তলা ভবনে হবে এই বিশেষ হাসপাতাল। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছ থেকে এক হাজার ৪৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসাবে পাওয়া যাবে।

দেশটি মাত্র শূন্য দশমিক ০১ শতাংশ সুদে এ ঋণ সহায়তা দিচ্ছে। ১৫ বছরের রেয়াতকালসহ ৪০ বছরে এই অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে একটি চুক্তিও হয়েছে।

এছাড়া সরকারের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ১৪৫ কোটি টাকা, আর ১৭৪ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে জনগণকে ‘সুলভ মূল্যে উন্নত চিকিৎসা’ দিতে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা আরও বাড়ানোই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলে প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে। 

প্রকল্পের আওতায় ‘সুপার স্পেশালাইজড’ হাসপাতালে ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, গ্যাস্ট্রো এন্টারোলজি ও হেপাটোবিলিয়ারি সেন্টার, চাইল্ড অ্যান্ড মাদার হেলথ কেয়ার সেন্টার, কার্ডিও অ্যান্ড সেরেব্রোভাসকুলার সেন্টার, কিডনি সেন্টার, আইসিইউ এবং কেন্দ্রীয় ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি বিভাগ স্থাপন করা হবে।

বিএসএমএমইউর উপাচার্য কামরুল হাসান খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত জমিতেই নতুন ভবন তৈরি হবে, যেখানে নতুন ৩০০ শয্যা থাকবে। এর ফলে এ হাসপাতালটি এক হাজার শয্যায় উন্নীত হবে।”

এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এক ছাদের নিচেই বিশ্বমানের কার্ডিওলজি ও সার্জারি নিশ্চিত করা সম্ভব হবে আশা করছেন তিনি।