‘প্রকোপ বাড়ছে’ ডায়াবেটিসের: ডব্লিউএইচও

অনেক দেশে ‘প্রকোপ বাড়ছে’ ডায়াবেটিসের, যে বৈশ্বিক মহামারীতে প্রতি সেকেন্ডে একজন ও বছরে ৫০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2015, 09:09 AM
Updated : 14 Nov 2015, 09:09 AM

শনিবার বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসকে সামনে রেখে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

এবিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার উপর জোর দিতে ২০১৬ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে ডায়াবেটিসকে মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে বেছে নিয়েছে ডব্লিউএইচও। 

জাতিসংঘের এই সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নয় কোটি ১০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যাদের প্রায় অর্ধেক শনাক্ত হয় না। 

২০১১ সালের বাংলাদেশ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপে (বিডিএইচএস) ৩৫ বছর ও তার বেশি বয়সী প্রতি নয়জনে একজনে ডায়াবেটিস পাওয়া যাওয়া যায়।

ডায়াবেটিস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে ফেলে। এতে হৃদরোগ, কিডনি অকেজো হওয়া এবং যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া ও এইচআইভি/এইডসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে গিয়ে কম বয়সে মৃত্যুর কারণ ঘটে।

ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, “অনেক দেশে ডায়াবেটিস মহামারী বাড়ছে।”

তিনি বলেন, এই প্রকোপের প্রবণতা রোধ করা না গেলে ২০১৪ সালের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ৪৫ কোটি ৭০ লাখ থেকে বেড়ে ২০৩৫ সালে ৫৯ কোটি ২০ লাখে গিয়ে ঠেকবে।

‘এটা ঠেকানো সম্ভব এবং এর চিকিৎসাও সম্ভব, বলে ড. ক্ষেত্রপাল।

ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশন (আইডিএফ) ও ডব্লিউএইচও ১৯৯১ সাল থেকে ডায়াবেটিস দিবস পালন শুরু করে। আর ডায়াবেটিস প্রতিরোধের গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০১৪ থেকে ১৬ সাল পর্যন্ত এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘স্বাস্থ্যকর জীবন ও ডায়াবেটিস’।

শুরুতেই ডায়াবেটিস নির্ণয় ও চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্য উন্নয়নে বহুখাতভিত্তিক নীতিমালা প্রণয়ন এবং জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদারের পরামর্শ দিয়েছে ডব্লিউএইচও।

এর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ, চিকিৎসা চর্চার উন্নয়ন এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রগুলোতে মৌলিক রোগ নির্ণয় ও প্রয়োজনীয় ওষুধের সহজলভ্যতা বাড়ানো।

ড. ক্ষেত্রপাল সিং বলেন, “সরকার, সুশীল সমাজ, বেসরকারি খাত, স্কুল, কর্মক্ষেত্র, গণমাধ্যম ও অন্যান্য স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে মিলেমিশে আমাদের কাজ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর জীবনের জন্য আরও স্বাস্থ্যকর পরিবশে নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সবারই ভূমিকা থাকতে হবে।

তবে প্রধান ভূমিকা রাখতে ব্যক্তিকেই; ভবিষ্যতের সুস্বাস্থ্যের জন্য বেছে নিতে হবে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি।

“ঠিকভাবে খাওয়া, নিয়মিত শারিরীক কর্মকাণ্ড ও স্বাস্থ্যসম্মত ওজন রক্ষার মাধ্যমে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো যায় বা এর প্রভাব বিলম্বিত করা যায়।”