আলোকরশ্মি ব্যবহার করে শারীরিক ও মানসিক চিকিৎসা দেয়াকে ফটোথেরাপি বলে।
নতুন পদ্ধতিতে একক রাসায়নিক যৌগ সিলিকন নাফথালসিয়ানিন ব্যবহার করা হয়। এ পদ্ধতি রোগ সনাক্তকরণ ও চিকিৎসা উভয় ক্ষেত্রেই কাজে লাগানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
একইসঙ্গে এই যৌগ শরীরে আর কোনো ক্যান্সার কোষ অবশিষ্ট থাকলে সেগুলোকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
গবেষকদের দাবি, এরই মধ্যে গবেষণাগারে বিভিন্ন প্রাণীর উপর পদ্ধতিটি প্রয়োগ করা হয়েছে। এ পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই টিউমার সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে এবং সেগুলো আর ফিরে আসেনি।
প্রধান গবেষক যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওলেন টারাটুলা বলেন, "এ পদ্ধতি ব্যবহারে ফলে ক্যান্সার কোষগুলো এতটাই উজ্জ্বল হয়ে দেখা যায় যে মনে হয় সার্জন বাড়তি দুইটি চোখ পেয়েছেন।"
"এ মুহূর্তে আমরা যে যৌগটি নিয়ে কাজ করছি তা তেমন খরচ সাপেক্ষ নয় এবং অস্ত্রোপচারের পরও যদি কোনো ক্যান্সার কোষ শরীরে থেকে যায় সেটিকে মেরে ফেলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।"
গবেষকদের বিশ্বাস, তাদের গবেষণা যখন সম্পূর্ণ হবে তখন ক্যান্সারের চিকিৎসায় ফটোথেরাপি নতুন এবং কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতিতে পরিণত হবে।
গবেষকরা এখন পর্যন্ত (প্রাণীর উপর পরীক্ষা হচ্ছে) ডিম্বাশয় ক্যান্সারের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে। তবে তাদের বিশ্বাস অন্যান্য ক্যান্সার যেগুলো সলিড টিউমারের আকারে হয় সেগুলোর ক্ষেত্রেও এ পদ্ধতি সমানভাবে কার্যকর হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি আমেরিকার ‘জার্নাল কেমিস্ট্রি অব মেটেরিয়ালস’- এ প্রকাশ পায়।