ক্যান্সার কোষকে স্বাভাবিক কোষে রূপান্তর!

ক্যান্সার কোষকে স্বাভাবিক কোষে রূপান্তরের পদ্ধতি বের করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এতে, ভবিষ্যতে ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 August 2015, 04:33 PM
Updated : 27 August 2015, 04:33 PM

‘দ্য টেলিগ্রাফ’ জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লোরিডার মেয়ো ক্লিনিকের বিজ্ঞানীরা  এই প্রথমবারের মত ফুসফুস, স্তন এবং ব্লাডারের ক্যান্সার কোষকে সুস্থ্য, স্বাভাবিক কোষে রূপান্তরিত করতে পেরেছেন।

কোষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং সক্রিয়তা ফিরিয়ে আনার মধ্য দিয়ে ক্যান্সার কোষের বিপজ্জনক বৃদ্ধির প্রক্রিয়া রুখে দিয়ে এটিকে ঝুঁকিমুক্ত কোষে পরিণত করেছেন তারা।

গবেষণাগারে মানব কোষের ওপর আপাতত এ পরীক্ষা চালানো হয়েছে।কিন্তু এ পদ্ধতিটি একদিন টিউমার সারাতে কাজে লাগানো যাবে বলে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। এর মধ্য দিয়ে কেমোথেরাপি কিংবা অস্ত্রোপচারের মতো কঠিন চিকিৎসাপদ্ধতি ছাড়াই ক্যান্সার সারিয়ে তোলা যাবে।

ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেহ কোষের বিভাজন চলে অনিয়ন্ত্রিতভাবে। ফলে ত্বকের নিচে মাংসের দলা অথবা চাকার আকারে টিউমার দেখা দেয়।

গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন, মাইক্রো আরএনএএস দেহ কোষের বিভাজন বা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চলতে থাকলে কোষকে পিএলইকেএইচএ৭ নামের প্রোটিন উৎপাদনের নির্দেশ দেয় এটি। আর সঠিক মাত্রায় প্রোটিনটি উৎপাদিত হলেই বন্ধ হয়ে যায় কোষ বিভাজন।

কিন্তু কোষে আরএনএএস না থাকলে এবং প্রোটিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলেই ক্যান্সার দেখা দেয়। গবেষকরা ক্যান্সার কোষে মাইক্রো আরএনএএস ঢুকিয়ে দেন। তারপর দেখতে পান সঠিক মাত্রায় পিএলইকেএইচএ৭ প্রোটিন উৎপাদিত হচ্ছে ক্যান্সার কোষে। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ক্যান্সার কোষের অস্বাভাবিক বিভাজন। 

ফলে ক্যান্সারের ক্ষেত্রে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে কোষে বা টিউমারে সরাসরি মাইক্রো আরএনএএস ঢুকিয়ে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। স্তন এবং ব্লাডার ক্যান্সার কোষে এ পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যান্সার বায়োলোজি বিভাগের এক প্রফেসর।