নিহতের পরিবারকে সাহায্য করবেন হেমা

ভারতীয় অভিনেত্রী এবং রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হেমা মালিনীর পক্ষ থেকে তার কন্যা এশা দেওল জানিয়েছেন, তার মায়ের গাড়ির সঙ্গে অপর গাড়ির সংঘর্ষে নিহত শিশুর পরিবারকে সাহায্য করা হবে।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2015, 11:16 AM
Updated : 5 July 2015, 11:16 AM

২ জুলাই রাজস্থানের দৌসা মহাসড়কে হেমার মার্সিডিজের সঙ্গে আরেকটি মারুতি অল্টো গাড়ির সংঘর্ষ হলে নিহত হয় একটি দুই বছর বয়সী শিশু। শিশুটির পরিবারের আরও চারজন আহত হন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হন হেমার গাড়ির চালক।

হেমা মালিনী নিজেও আহত হন ওই ঘটনায়। সঙ্গে সঙ্গেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসার পর শনিবার একটি চার্টার প্লেনে করে মুম্বাইয়ে নিজের বাসভবনে এসে পৌঁছান তিনি।  তার সঙ্গে ছিলেন কন্যা এশা দেওল ও তার স্বামী ভারত তাখতানি।

এদিকে এনডিটিভির কাছে নিহত শিশুর পিতা দাবি করেন, হেমাকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তার মৃত কন্যা এবং পরিবারের অন্য আহত সদস্যদের হাসপাতালে নিতে কাল ক্ষেপন করা হয়েছিল।

এদিকে ৬৬ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর মুম্বাইয়ের বাড়ির সামনে ঘটনাটি নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এশা। সেখানে তিনি বলেন, “আমার মা নিহতের পরিবারকে সাহায্য করবেন। কেবল একজন নেতা হওয়ার কারণে তিনি এমনটি করছেন না, তিনি এটা করছেন, কারণ তিনি একজন ভাল মানুষ।”

দুর্ঘটনার পর ভুক্তভোগী পরিবারের কারও সঙ্গে হেমার তরফ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়নি, এমন অভিযোগের ব্যাপারে এশা বলেন, “যখন দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন মায়ের যে অবস্থা ছিল, সে সময় তিনি কিভাবে অন্যদের ব্যাপারে ভাববেন? আমরা কেউই তখন কিছু ভাবতে পারছিলাম না। তবে আমরা দুঃখিত যে পরিবারটি তাঁদের আপনজন হারিয়েছেন।”

দুর্ঘটনার সময়ের বিবরণ দিতে গিয়ে এশা বলেন, “যখন দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, তিনি (হেমা মালিনী) ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি সবাইকে বলে রেখেছিলেন সিট বেল্ট বাঁধতে। কিন্তু পেছন থেকে হঠাৎ করেই বড় ধরনের ধাক্কা লাগলো।”

“দুর্ঘটনাটি অনেক বেশি খারাপ ছিল। সবাই মানসিকভাবে এতোটাই বিপর্যস্ত ছিলেন যে, কারোরই কথা বলা  কিংবা চিন্তা করার মতো অবস্থা ছিল না।”

এশা জানান, চিকিৎসকরা তার মাকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন।

“চিকিৎসকেরা তাকে বাড়িতে বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তিনি এখন কিছুটা ভাল আছেন। তিনি

এখন বিশ্রাম নিতে চান। তিনি কারও সঙ্গে দেখা করছেন না। তিনি দুই-একদিনের জন্য বিশ্রাম নেবেন, এরপর মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন।”