এদিকে দুপুর একটার দিকে হাসপাতালের কমিউনিকেশন অ্যাণ্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান ডাক্তার শাগুফা আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাজ্জাকের শ্বাসপ্রশ্বাস প্রক্রিয়া এখনও কৃত্রিম উপায়ে চলছে। ফুসফুসের সংক্রমণের পাশাপাশি তার হৃদপিণ্ডেও সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তিনি জানিয়েছেন, বার্ধক্যজনিত কারণে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কমে আসছে ৭৩ বছর বয়সি এই অভিনেতার। এখন রাজ্জাককে আইসিইউতে রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শাগুফা জানিয়েছেন, রাজ্জাকের উন্নত চিকিৎসার জন্য বুধবার বিকালে নতুন একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
এই বোর্ডের বরাত দিয়ে শাগুফা বলেন, “ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ নামে ফুসফুসের সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত রাজ্জাকের ফুসফুসের অবস্থা এখনও ভালো না। ফুসফুসের সংকোচন-প্রসারণ এখনও যথেষ্টই কম। একইসঙ্গে তার হৃদপিণ্ডের অবস্থাও ভালো নয়।
একজন সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের হৃদপিণ্ডের রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা যেখানে ৭৫ ভাগ থাকার কথা, সেখানে রাজ্জাকের ক্ষমতা রয়েছে ৩৫ ভাগ। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ইজেকশন ফ্র্যাকশন। আমরা এ বিষয়কে আশঙ্কাজনক হিসেবেই বিবেচনা করছি। আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাই না। তাকে আরও বেশকিছুদিন আইসিইউতে রাখবো।”
এই প্রতিবেদন লেখার সময় রাজ্জাকের ছোট ছেলে অভিনেতা সম্রাট হোসেন বৃহস্পতিবার ২টা ১৫ মিনিটে তার ফেইসবুক স্ট্যাটাস দেন, “আল্লাহর অশেষ দোয়ায় বাবা এখন অনেক ভালো আছেন। তার লাইফ সাপোর্ট ও ভেন্টিলেটর এখন খুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি স্বাভাবিক-প্রাকৃতিক উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছেন।”
বুকে ব্যথা ও প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৬ জুন ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেতা রাজ্জাক। এরআগে ২০১৪ সালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজ্জাক ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।