নগ্ন দৃশ্য ফাঁস: প্রিতির প্রতিক্রিয়া

ভারতীয় অভিনেত্রী প্রিতি গুপ্তা এবার মুখ খুললেন তার অভিনীত নগ্ন দৃশ্য ফাঁসের ঘটনা নিয়ে। বললেন, সিনেমা নয়, এভাবে কারও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার বিষয়টি নিষিদ্ধ করা উচিৎ।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2015, 08:07 AM
Updated : 29 June 2015, 12:02 PM

হিন্দুস্তান টাইমসকে এ ব্যাপারে প্রিতি বলেন, “এটা সত্যি যে অভিনয়শিল্পীরা অনেক দুর্বল এবং আমি আসলে ব্যাপারটি নিয়ে খুবই ক্ষুদ্ধ। বিষয়টা অদ্ভুত এবং গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এটা ঠিক নয়, এবং কিছু যদি নিষিদ্ধ করতেই হয়, তাহলে এ ধরনের কাজকে করা উচিৎ।”

রাজ অমিত কুমারের সিনেমা ‘আনফ্রিডম’-এর এই অভিনেত্রী আরও বলেন, কেবলমাত্র সমকামিতা প্রদর্শনের কারণ দেখিয়ে সিনেমাটি নিষিদ্ধ করা মোটেও উচিৎ হয়নি। তিনি মনে করেন, সমকামিতা নিয়ে খোলাখুলি কথা হওয়া উচিৎ।

“এই নিষিদ্ধ ঘোষণা করার বিষয়টি আমার কাছে খুবই অপ্রয়োজনীয় মনে হয়েছে। কেন কোনো কিছুকে নিষিদ্ধ করতে হবে? আপনারা কি দর্শকদের বুদ্ধিমত্তায় আস্থা রাখেন না? সিনেমার বার্তাটি পেতে হলে আগে সিনেমাটি দেখতে হবে। দেখুন, আমরা সবাই প্রাপ্তবয়স্ক এবং আমাদের সবাইকে পছন্দমতো সিনেমার বিষয়বস্তু বেছে নেওয়ার অধিকার দেওয়া উচিৎ। সমকামিতা খুবই স্বাভাবিক। এতে ভিন্নতার কি আছে?”

তিনি আরও বলেন, “আনফ্রিডম একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা। এখানে দুটি গল্প আছে, আমরাটা তার মধ্যে একটা। এখানে দেখানো হয়, নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত- দুই শ্রেণীতেই কিভাবে সমকামিতা বিরাজমান। উচ্চবিত্তরা হয়তো ব্যাপারটিকে ভিন্ন চোখে দেখেন, কিন্তু বাকিদের কাছে এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা সহজেই সহিংসতাকে উসকে দিতে পারে।”

‘আনফ্রিডম’কে নিষিদ্ধ ঘোষণার পেছনের উদ্দেশ নিয়েও প্রশ্ন করেছেন প্রিতি।

“আমি বুঝি না কেন মানুষ সিনেমাটিকে এতো ভয় পাচ্ছে? আমরা একটা কারণে সিনেমাটি নির্মাণ করেছি এবং এর মাধ্যমে আমরা একটা কিছু প্রমাণ করতে চাই। আমাদের এটা নিয়ে বসা উচিৎ এবং কথা বলা উচিৎ। আমরা যদি বিষয়টিকে এড়িয়ে যাই, তবে তা হবে যুক্তিবিহীন একটি কাজ। এর মুক্তি পাওয়া উচিৎ এবং মানুষের সিনেমাটি দেখা উচিৎ।”

প্রিতির ফাঁস হয়ে যাওয়া নগ্ন দৃশ্যটি এই ‘আনফ্রিডম’ সিনেমার জন্যই ধারণ করা হয়েছিল। দৃশ্যটি নিয়ে প্রিতি বলেন, “এই ধরনের দৃশ্য ধারণের জন্য প্রযোজন নিষ্ঠা আর নিয়মানুবর্তিতা। এটা অনেক কঠিন। সিনেমাটির ধারণা আমার কাছে যথাযথ মনে হয়েছে এবং এ কারণেই আমরা এই অবস্থার সত্যতা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আসলে আমরা চেষ্টা করেছি, দুই ঘণ্টার মধ্যে বাস্তবতাকে তুলে ধরতে। আমাদের উদ্দেশ্য উসকে দেওয়া নয়, বরঞ্চ আপনাদেরকে সত্যটা দেখানো। এর জন্য সাহসের প্রয়োজন।"