রানবিরের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার তকমা লেগেছে 'বোম্বে ভেলভেট'-এর গায়ে। অনুরাগ কাশ্যাপের প্রথম বাণিজ্যিক সিনেমা হিসেবে এর ব্যাপারে দর্শকের ব্যাপক প্রত্যাশা থাকলেও তার পুরোটাই মাঠে মারা পড়েছে।
ওদিকে তার আগেই মুক্তি পাওয়া দিপিকার সিনেমা 'পিকু' - বক্স-অফিসে এখনও দাপট দেখাচ্ছে। আর এই সাফল্য উদযাপনেই পার্টির আয়োজন করেন দিপিকা।
নিন্দুকেরা বলছেন, সাবেক প্রেমিক রানবিরের কাটা ঘায়ে নুন ছিটাতেই এই পার্টির আয়োজন করেন তার সাবেক প্রেমিকা।
কিন্তু মুম্বাইভিত্তিক দৈনিক মুম্বাই মিররকে দিপিকা জানান, রানবিরকে বরাবরই নিজের বন্ধু ভাবেন তিনি।
পার্টির আয়োজন হুট করেই করা হয় এবং আগের রাতে সব অতিথিদের ফোন করে নিমন্ত্রণ জানানো হয়। এমনকি 'বোম্বে ভেলভেট' এর সব নির্মাতা-প্রযোজকদেরও নিমন্ত্রণ করা হয়।
দিপিকা বলেন, “আমি অনুরাগ কাশ্যাপ, ভিকাস বেহেলসহ সবাইকে দাওয়াত করেছিলাম। শুধু বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানিকে দাওয়াত দিতে পারিনি কারণ তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছিলেন। আমি রানবির এবং ক্যাটরিনাকেও (ক্যাটরিনা কাইফ) দাওয়াত দেই। কিন্তু সম্ভবত 'বোম্বে ভেলভেট'এর ব্যর্থতার কারণে তারা অংশ নেননি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেও ক্যারিয়ারে এ ধরণের দুঃসময় পার করেছি। আমি কখনোই এমন কিছু করবো না যা রানবিরকে কষ্ট দিতে পারে। 'তামাশা'র শুটিংয়ের সময় ও আমার সঙ্গে 'বোম্বে ভেলভেট' নিয়ে কথা বলতো। রানবির আমাকে বলেছিলো, তার চরিত্রটি অনেক কঠিন। এমনকি তার মত প্রতিভাবান অভিনেতার জন্যও চরিত্রটি ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের।”
এক বছরের জন্য প্রেম করেছিলেন রানবির-দিপিকা। এরপর তাদের সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলেও এক সঙ্গে পর্দায় দেখা গেছে তাদের। ২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া এই জুটির সিনেমা 'ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি' ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পায়।