“আপনি যতোই দার্শনিক বা মনোবিদ কিংবা কোনো ধর্মগুরুর সঙ্গে কথা বলুন না কেন, মোদ্দা কথা হলো, জীবনের নিজস্ব গতি রয়েছে এবং আপনার বোকামির মুহূর্তেই এটি আপনাকে চাপা দিয়ে চলে যাবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সবাই কোনো না কোনো দিন খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে যাচ্ছি। একই পরিণতি, কিন্তু খুবই খারাপ।”
এরপর সবার জীবনকে অর্থহীন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “কারণ, দিনের শেষে আসলে জীবনের কোনো অর্থ নেই। আমরা একটি উদ্দেশ্যহীন ব্রহ্মাণ্ডে বাস করছি। আপনি একটি অর্থহীন জীবন যাপন করছেন। এবং জীবনে আপনি যা কিছু সৃষ্টি করছেন - এর সবই মিলিয়ে যাবে। এবং পৃথিবীটাই একদিন মিলিয়ে যাবে, সূর্য পুড়ে শেষ হয়ে যাবে আর গোটা ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হয়ে যাবে।”
বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের উপর ‘অ্যানি হল’ নির্মাতার এত ক্ষোভ আসলে কান থেকে তাকে সম্বর্ধনা দেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা একটু বেশি দীর্ঘ হয়ে যাওয়ার বিরক্তি থেকেই এসেছে। উডি অ্যালেনকে সম্মান জানাতে পাক্কা বিশ মিনিট অনুষ্ঠানস্থলের সবাই দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। পুরো ঘটনায় হতভম্ভ অ্যালেন ওই মুহূর্তে অনুষ্ঠান থেকে বের হবার পথ খুঁজছিলেন। সেটি করতে না পেরেই মূলত বিরক্তি চরমে ওঠে তার।
এ ব্যাপারে এক সূত্র জানায়, “উডি বুঝতে পারছিলেন না তার কি করা উচিৎ। তিনি থিয়েটার থেকে বের হতে চাচ্ছিলেন, কিন্তু দর্শকরা তালি বাজানো থামাচ্ছিল না। তিনি বুঝতে পারছিলেন না কিভাবে তাদের থামানো যায়।”